আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছয় মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও স্পেনের রাজনৈতিক সংকট সহসাই কাটছে না। এবারও কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। আর এ রাজনৈতিক স্থবিরতা এখনই কাটছে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্য গার্ডিয়ান
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনি পূর্বাভাসে ধারণা করা হচ্ছিল, রক্ষণশীল ভাবধারার দল পপুলার পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং উদীয়মান বামপন্থি ভাবধারার ইউনিদোস পোদেমোস দ্বিতীয় স্থান থেকে সেন্টার-লেফট সোশ্যালিস্টদের সরিয়ে দেবে। তবে ভোট গণনার পর দেখা গেল, ৩৫০ আসনের পার্লামেন্টে রক্ষণশীল পপুলার পার্টি সর্বাধিক ১৩৭টি আসন লাভ করে। তবে সেন্টার-লেফট সোশ্যালিস্ট পার্টি ৮৫ আসন নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। তিন নম্বরে রয়েছে ইউনিদোস পোদেমোস, তাদের আসন সংখ্যা ৭১টি। সিউদাদানোস চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ৩২ আসন নিয়ে।
উল্লেখ্য, চারটি প্রধান রাজনৈতিক দল কোয়ালিশনে অসম্মত হলে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। রক্ষণশীল নেতা ম্যারিয়ানো রাহয় সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি সরকার গঠনের দাবি জানাবেন বলে উল্লেখ করেছেন।
নির্বাচনের ফলাফলকে আশানুরূপ মনে না করলেও, গত দুবছরে দলের এ অবস্থান তৈরি হওয়াকে ইউনিদোস পোদেমোস-এর নেতা পাবলো ইগলিসিয়াস ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। এদিকে, সোশ্যালিস্টরা আপাতত সাবেক নেতাদের করা দুর্নীতির অভিযোগ সামলাতেই ব্যস্ত। বেশকিছু সোশ্যালিস্ট নেতার বিরুদ্ধে জনগণের তহবিলের অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। পপুলার পার্টির বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। সম্প্রতি এ দলের অবৈধ তহবিল এবং অনুদান বিষয়ে পার্টির কোষাধ্যক্ষ কারাদ-ে দ-িত হয়েছেন। এই নির্বাচনের পর নেতারা আলোচনায় বসে কোয়ালিশন গঠন করবেন ও বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনে সোশ্যালিস্ট পার্টিকে হারিয়ে ক্ষমতায় বসেন পপুলার পার্টির মারিয়ানো রাহয়। সে সময় দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক সংকটকে পুঁজি করে তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেন। গত চার বছরে কঠিন ব্যয়সংকোচন ও শ্রমব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে স্পেন কাগজে-কলমে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু দেশটিতে বর্তমানে বেকারত্বের হার ২১ শতাংশের বেশি। যা পরবর্তী সরকারের জন্য এক চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ