বিশেষ প্রতিনিধি : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে এক লাখ এক হাজার ২শ কোটি টাকা ঋণ নিতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় ঋণ চুক্তির (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিটচুক্তি) খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। জুলাইয়ের শেষ দিক অথবা আগস্টের শুরুতেই চুক্তিটি সম্পন্ন হতে পারে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার ১১৩তম বৈঠকে এ ঋণ চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আগামী জুলাই-আগস্টে এ চুক্তি হতে পারে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ২০১১ সাল থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। তখন উভয় সরকারের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তঃরাষ্ট্রীয় ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তখনকার ওই এমওইউর আলোকেই এখন চুক্তিপত্র তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি এটমিক এনার্জি প্ল্যান্ট তৈরি করতে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণচুক্তি করা হচ্ছে।
গত ১৯ মে মস্কোতে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সভার পর ‘মিনিটস অ্যান্ড ডিসকাশন’ সই হয়। তার আলোকেই চুক্তিপত্র তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রূপপুরে দুটি এটমিক এনার্জি প্ল্যান্ট তৈরিতে দেশের মোট ঋণের পরিমাণ ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রকল্প নির্মাণ ব্যয়ের ১০ শতাংশ অগ্রিম হিসেবে বাংলাদেশ সরকার রাশিয়ার ফেডারেশনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেবে। ঋণের বাস্তবায়নকাল ২০১৭ থেকে ২০২৪।
তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধকাল প্রস্তাবিত অর্থায়ন শুরুর পর থেকে ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ড। এ ১০ বছর পর থেকে শুরু করে মোট ৩০ বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে। মূল ঋণের প্রথম কিস্তি শুরু হবে ২০২৭ সালের ১৫ মার্চ। প্রতি বছরের ১৫ মার্চ ও ১৫ সেপ্টেম্বর সমপরিমাণ কিস্তিতে বাংলাদেশ সরকারকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার ঊর্ধ্বসীমা ৪ শতাংশের বেশি হবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চুক্তির মোট ব্যয় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন। বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ার অনুদান নিয়ে এ ব্যয় নির্বাহ করা হবে। সম্পাদনা : দীপক চৌধুরী