কিরণ সেখ : নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে রাজনৈতিক দলকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবে বিএনপি তাদের মেনে নেবে বলে সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
গতকাল সোমবার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাবের আহ্বায়ক কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলার সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকারকে বলতে চাই, অনেক হয়েছে। এবার ছাড়ুন। গায়ের জোরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে আছেন। তাই ব্রিটেনের দিকে দেখুন। আপনারা বলেন, ব্রিটেনকে ফলো করেন? তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। ওই নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় না বসিয়ে যদি অন্য কোনো দলকে বসায় তাহলে আমরা তাদের মেনে নেব।
তিনি বলেন, আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন কৃষি খাতে অনেক উন্নতি করেছি। অথচ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সকল ক্ষেত্রে দলীয়করণ করে সব ধ্বংস করে দিয়েছে। আর এজন্য তারা ‘সরকার’ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভালো কর্মকর্তাদের বাদ দিয়েছে। কারণ তারা বিএনপির সমর্থক বলে।বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, সরকারের অবহেলার কারণে দেশের কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। এছাড়া কৃষি জমির মাটিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কারণ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কোনো গবেষণার সুযোগ নেই। আর এজন্য দায়ী বর্তমান সরকার। তারা ধানের উৎপাদনের কথা চিন্তা করে ধানের দাম নির্ধারণ করতে পারতেন। কিন্তু তারা ‘সরকার’ সেটা করেননি।
বেগম জিয়া বলেন, কৃষকদের উৎপাদন খরচও উঠে না। কিন্তু এদিকে সরকারের কোনো নজর নেই। অথচ ক্ষমতায় আসার আগে তারা ‘আওয়ামী লীগ’ অনেক কথাই বলেছিলেন। তারা বলেছিল ক্ষমতায় এলে জনগণকে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। কিন্তু তারা এ কথা রাখতে পারেন নাই। শুধু তা-ই নয়, কোনো কথাই তারা রাখতে পারেন নাই।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেলে অবশ্যই বাংলাদেশকে আমরা কৃষিপ্রধান দেশ করব। আর এজন্য কৃষির উপর আলাদাভাবে গবেষণা ও উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হবে। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি