আজাদ হোসেন সুমন : চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ প্রশাসনে এসপি বাবুল আক্তারের আলাদা সুনাম আছে। দৃঢ়তা ও সাহসিকতারপূর্ণ কাজের জন্য পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদক ও বাংলাদেশ পুলিশ পদক। অপরাধী চক্রকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে তিনি সিদ্ধহস্ত। চট্টগ্রামে তিনি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন একাধিক জঙ্গি আস্তানা।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে পুলিশে চাকরি হওয়ার পর সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে র্যাব-২ এ যোগদান করেন। কর্তব্যনিষ্ঠা ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য ২০০৮ সালে সরকার তাকে রাষ্ট্রপতি পদকে (পিপিএম) ভূষিত করে। এর পরের বছরই অর্থাৎ ২০০৯ সালে তিনি পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ (বিপিএম) পুরস্কার পান। র্যাব থেকে চট্টগ্রামে বদলি হওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর ও দক্ষিণ বিভাগের দায়িত্ব পান। যোগদান করার পরই তিনি ওই জোনের চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও এলাকা থেকে মাদক নির্মূলে সর্বাতœক প্রচেষ্টা চালান। সে সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি এক অভিযানে চট্টগ্রামের খোয়াজ নগর এলাকায় অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিদের বোমাবর্ষণে বাবুল আক্তারের ৩ সহযোগী পুলিশ সদস্য আহত হলেও সেখান থেকে কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেফতার এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও গোলা-বারুদ উদ্ধার করেন তিনি।
ঢাকার সদরঘাট এলাকায় জঙ্গি অর্থায়নের লক্ষ্যে জোড়া খুনের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকা-ের মূল হোতাদের নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং একটি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করেন। বান্দরবানের দুর্গম নাইক্ষ্যংছড়িতে অভিযান চালিয়ে একাধিক জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দেন। একের পর এক সহাসিকতাপূর্ণ অভিযান ও সাফল্যের কারণে পুলিশ প্রশাসনে বাবুল আক্তারের আলাদা ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে। তার বিভিন্ন বীরত্বগাঁথা দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেও ফলাও করে প্রচার করা হয়।
তার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি মোহাম্মাদ কিবরিয়া বলেন, বাবুল আক্তার একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা। তার সাহসিকতাপূর্ন কাজের জন্য আমরা তাকে ভাল জানি। এর বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি