ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী ফ্লাইটের (কার্গো সার্ভিস) সরাসরি প্রবেশে এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জার্মানি। তৈরি পোশাকের শীর্ষ বাজারটির এ নিষেধাজ্ঞায় ফের ভাবনায় ফেলেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষকে। এর আগে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে শর্তসাপেক্ষে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া এবং শিথিল করে যুক্তরাজ্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষমতাধর দেশ জার্মানি গত রোববার তাদের এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান তুহিন মারফত এ তথ্য জানা গেছে।
গত বছরের অক্টোবরে মিসরের আকাশে বিস্ফোরণে রাশিয়ার একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিশ্বের ২০টি দেশের ৩৮ বিমানবন্দরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। সেই ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও রয়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দরগুলো থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সংশ্লিষ্টরা।
তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অস্ট্রেলিয়া। তবে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে মে মাসে কিছু শর্তে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটির সরকার।
একই কারণে গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাজ্যও। পরে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, এসিসিথ্রি-এর (এয়ার ক্যারিয়ার ক্যারিং কার্গো অর মেইল ফ্রোম থার্ড কান্ট্রি এয়ারপোর্ট) মর্যাদা লাভ করলে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট সরাসরি লন্ডনে যাবে। তবে সেক্ষেত্রেও তৃতীয় দেশ হয়ে তিনটি এয়ারলাইন্সকে বাংলাদেশ থেকে কার্গো পরিবহনের শর্ত জুড়ে দেয় যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৬০ শতাংশই যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে। বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে প্রতিদিন গড়ে ৫শ থেকে ৬শ টন মালামাল পরিবহন করা হয়। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম