ডেস্ক রিপোর্ট : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পক্ষে গণভোটের রায়ের পর দ্বিতীয়বার গণভোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তিনি বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই। ব্রিটিশ জনগণের রায়ে বিষয়টি মীমাংসিত হয়েছে। জনগণের ইচ্ছাকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে। গতকাল সোমবার হাউজ অব কমন্সে ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনায় এমপিদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের সদস্য পদ নিয়ে দ্বিতীয় গণভোটের জন্যে এক আবেদনে ৩২ লাখেরও বেশি স্বাক্ষর জমা পড়েছে। গত বৃহস্পতিবারের গণভোটে বেশিরভাগ মানুষ ইইউ ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেওয়ার পর লোকজন এই পিটিশনে সই করছেন। নিয়ম অনুযায়ী এই আবেদনটি বিবেচনা করে দেখার কথা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের। সাধারণত কোনো পিটিশনে এক লাখের বেশি স্বাক্ষর থাকলে পার্লামেন্টে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। আজ পিটিশন কমিটির জরুরি বৈঠকে বসারও কথা রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবারের গণভোটে ৫২ শতাংশ মানুষ ইইউ ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে আর ৪৮ শতাংশ মানুষ থাকার পক্ষে রায় দেন। তবে লন্ডন, স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেশিরভাগ ভোটার রায় দেন ইইউতে থাকার পক্ষে।
এদিকে গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় আসার পর থেকেই উত্তাল যুক্তরাজ্য। ফলাফলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মানুষ রাজধানী লন্ডন ও স্কটল্যান্ডের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। লন্ডনের স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে স্বাক্ষর করেছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। তারা লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন। আর স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে স্কটল্যান্ডের কয়েকটি শহরেও। যুক্তরাজ্য থেকে আলাদা হতে দ্বিতীয়বারের মতো গণভোটের ডাক দেওয়ার কথা জানান স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন।
গণভোটের পর প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী অক্টোবর মাসে তিনি তার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। এদিকে আগামীকাল ইইউর বাকি ২৭টি দেশের নেতারা পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জরুরি বৈঠকে বসবেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম
ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া