বান্দরবানে আনারসের বাম্পার ফলনেও ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত চাষিরা
মো. শাফায়েত হোসেন, বান্দরবান : বান্দরবানে চলতি মৌসুমে আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। রুমা, রোয়াংছড়ি ও বান্দরবান সদর উপজেলার বহু স্থানে আনারসের স্তূপ। এ বছরের পাহাড়ে প্রচুর আসারসের ফলন হয়েছে। চাষিরা দামও ভালো পেয়েছে। এসব আনারস স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরণ করে জেলার বাহিরেও নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে আনারসের ফলন ভালো হয়।
স্থানীয় চাষিরা জানান, অনুকূল পরিবেশের কারণে এবারে আনারসের ফলন ভালো হয়েছে। খেতে সুস্বাদুও। বর্তমানে জেলা শহরের প্রধান বাজারে বড় সাইজের প্রতি জোড়া আনারস বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আনারস বাগান এলাকায় গিয়ে বেপারিরা চাষিদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে গড় হিসেবে প্রতিশত ৮শ থেকে ৯শত টাকা দরে।তবে সংরক্ষণে সুবিধার অভাবে বাগান থেকে কাটা আনারসগুলো দ্রুত বিক্রি করতে হচ্ছে। অতিমাত্রা গরমের কারণে আনারসগুলো বেশিদিন রাখা যাচ্ছে না।
জেলার বাহির থেকে আসা বেপারিদের জানান, বান্দরবানে এ বছর প্রচুর আনারসের ফলন হয়েছে। চাষিরা যেই দামে বিক্রি করতে যাচ্ছে এবং পরিবহন খরচ দিয়ে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে লাভের চেয়ে লোকসান গুনতে হবে। কাঁচা মাল হওয়া বেশি দিন রাখা যাচ্ছে না। বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে লোকসান গুনতে হয়।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, অনুকুল আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে বান্দরবান জেলার আনারসে ফলন ভালো হয়েছে। জেলা এবছর ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষাবাদ করা হয়েছে এবং ৮৭ হাজার ৪০০ মেট্রিকটন আনারস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তাদের মতে, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজাত জাতের ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত আনারসগুলো বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। বাজারজাত করার ব্যবস্থা থাকলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বেশি দিন সংরক্ষণ করা যেতো এবং কৃষিপণ্যের নায্যমূল্য পেতো চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন জানান, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে আনারসের ফলন ভালো হয়েছে। চাষিরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন আনারস চাষের প্রতি।
স্বল্প সময়ে আর্থিকভাবে অধিকলাভজনক হওয়ায় এ আনারস চাষে আগ্রহ বাড়ছে। চাষিরা তাদের উৎপাদিত মালামাল বিক্রয় করে আর্থসামাজিক ভাবেও লাভবান হচ্ছে।