দশমিনায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম
মামুন হোসেন, দশমিনা : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার নিজস্ব ভবন না থাকা, আবার ভবন থাকলেও ছাদ চুইয়ে পানি ও পলেস্টার খসে পড়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা, চিকিৎসক সংকটসহ নলকূপ না থাকায় বর্তমান সরকার ঘোষিত কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূলের স্বাস্থ্য সেবা বিঘিœত হচ্ছে।
জানা যায়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় উপজেলা সদরের হাজির হাট কমিউনিটি ক্লিনিকে গত বছর ২ জুলাই সোলার প্যানেল চুরি হয়। ৪ জুলাই থানায় জিডি হলেও অদ্যবধি পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। উপজেলার ১৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ৩টিতে গভীর নলকূপ রয়েছে।
হাজির হাট, কাটাখালী, বাংলাবাজার, নেহালগঞ্জ, ঠাকুরহাট, বাঁশবাড়িয়া, জমিনমৃধা, উত্তর রণগোপালদী, চর বোরহান, পূর্ব আউলিয়াপুর, খলিশাখালী, দক্ষিণ আদমপুর মৃধার হাটসহ ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিকে বিশুদ্ধ পানির অভাবে রোগীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ক্লিনিকগুলোর মধ্যে হাজির হাট ভবনের পলেস্টার খসে পড়া, বাংলাবাজার ভবনে বড় ধরনের ফাঁল দেখা দিয়েছে। এদিকে, উপজেলার আউলিয়াপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের নিজস্ব ভবন না থাকায় সিএইচসিপি মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ লাবু ব্যক্তিগতভাবে ভবন ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।
ওই ভবনের ৬ মাস ভাড়া বকেয়া থাকায় মালিক পক্ষ ভবন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও সিএইচসিপি লাবু জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় উল্লেখ করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলে একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও একজন ডেন্টাল চিকিৎসক দিয়ে। বহরমপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মোস্তাফিজুর রহমানকে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। নিয়ম রয়েছে তৃণমূলে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন করে সহকারী সার্জন থাকার সেক্ষেত্রে নেই একজনও।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি এ্যাড. মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি মন্ত্রাণালয়ে আলাপ করে সুরাহা করা হবে।