বিশ্বজিৎ দত্ত : ঈদের ছুটিতে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে হ্যাক হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনলাইন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তই নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে রক্ষিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সার্ভারে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
এবারে ঈদের ছুটি একটানা ৯ দিন। এই ছুটিতে হ্যাকারারা যেন ব্যাংক ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের অনলাইনে সাইবার আক্রমণ না করতে পারে সেজন্য অফিসের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ফয়সাল মোকাম্মেল জানান, ব্যাংকগুলোর এটিএম ঈদের সময় যেন চালু থাকে সেজন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তার দিকটিও দেখার জন্য বলা হয়েছে। এটিএমের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রহকের মোবাইলে সতর্ক সংকেত চলে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ শাখা এবারে বন্ধ থাকবে না। কর্মকর্তারা শিফটে কাজ করবেন।
দেশের অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংক বন্ধ থাকবে মূলত ৪ দিন। এর মধ্যে শুধু বাণিজ্যিকভাবে চালু থাকবে কয়েকটি শাখা। অন্য শাখাগুলো বন্ধ থাকবে। এটিএমের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক একটি আইটি দল থাকবে। তারা এটিএম বুথগুলো পরিদর্শন করবে। তবে ঈদের সময় ব্যাংকের অন্যান্য লেনদেন ডিজিটাল হবে না। বৈদেশিক লেনদেন শুধু নির্দিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে।
রাজস্ব বোর্ডের সদস্য কালীপদ হালদার জনান, আয়কর বিভাগের অনলাইন বিভাগের ইন্টারনেট সংযোগ ছুটির সময় বন্ধ থাকবে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকলে তথ্য হ্যাক হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকবে না। তবে বন্দর এলাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের অনলাইন চালু রাখবে। সেখানে কর্মকর্তারাও থাকবেন। অন্যান্য বিভাগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অনলাইনেও বিশেষ কিছু সার্ভারের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হবে। পোস্ট অফিসের অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে যেখানে ই-ট্রানজেকশান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী