অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকায় ১২ একর জমি নির্বাচন
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : দেশের প্রথম অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকার আশকোনায় সিভিল অ্যাভিয়েশনের ১২ একর জমি নির্বাচন করা হয়েছে। বিমানবাহিনী ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের উদ্যোগে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে।
অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকল্পে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদর দফতরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে অ্যাভিয়েশন জগতে বিপুল উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও)-এর তথ্যানুযায়ী, পৃথিবীতে প্রতিবছর বিমান পরিবহনে ২৩ হাজার জন পাইলট ও বিমান রক্ষণাক্ষেণে ৩০ হাজার জনবল প্রয়োজন। আগামী ২০ বছরে অ্যাভিয়েশন সেক্টরে ১৭ হাজার নতুন দ্রুতগামী বাণিজ্যিক বিমানসহ ২৫ হাজার নতুন এয়ারক্রাফট, ৪ লাখ ৮০ হাজার টেকনেশিয়ন এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার পাইলট এর প্রয়োজন হবে।
বৈঠকে উপস্থিত বক্তারা মতামত তুলে ধরে বলেন, অ্যাভিয়েশনে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশি অ্যাভিয়েশন গ্রাজুয়েটদের আন্তর্জাতিক অ্যাভিয়েশন মানসম্পন্ন ও আন্তর্জাতিক খ্যতিসম্পন্ন অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং দেশের মর্যাদা বৃদ্ধিতে অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। আশকোনায় সিভিল অ্যাভিয়েশনের ১২ একর জমি নির্বাচন করা হয়েছে। এতে লন্ডনের মিডল সেক্স ইউনিভার্সিটি, বার্নেল ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির সাথে এডুকেশন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম থাকবে।
সভায় অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসংক্রান্ত একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন এয়ার কমোডর ইয়াজদানী। সভায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক, সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গণি চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি