উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি উৎপাদনে জাতিসংঘের সহায়তা কামনা
ইয়াছিন রানা : বাংলাদেশে উচ্চ প্রযুক্তির প্রকৌশল, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি ও ঔষুধ উৎপাদন শিল্পে জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউনিডো) কারিগরি সহায়তা চেয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাতের বিকাশ ও পণ্য বৈচিত্রকরণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। এক্ষেত্রে ইউনিডো বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। দক্ষিণ কোরিয়া সফররত শিল্পমন্ত্রী গতকাল জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউনিডো) মহাপরিচালক লি ইয়াংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সহায়তা কামনা করেন। দেশটির উলসান শহরের লটি হোটেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মৎস্যসহ জলজ খাবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মান ব্যবস্থার সমপর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি কান্ট্রি প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশে গুণগতমান অবকাঠামো গড়ে তুলতে ইউনিডোর সহায়তা বৃদ্ধির তাগিদ দেন। বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, গুণগত শিল্পায়নের ধারা জোরদারের লক্ষ্যে সরকার জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ প্রণয়ন করেছে। এ নীতির আলোকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্য বৈচিত্রকরণ, মূল্য সংযোজন ও পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ বেগবান করা হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ, কৃষিভিত্তিক শিল্পের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও মানোন্নয়ন, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতের উন্নয়নে ইউনিডো সহযোগিতা করতে পারে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। জবাবে ইউনিডোর মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে গুণগত শিল্পায়নের ধারা জোরদারে ইউনিডোর সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে ইউনিডোর কান্ট্রি প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশে গুণগতমান অবকাঠামোর উন্নয়নের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান অবকাঠামো গড়ে তুলতে ইউনিডো বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাবে। বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলফিকুর রহমান, কাউন্সিলর (শ্রম) জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউনিডোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা: পরাগ মাঝি