বোনাস নিয়ে উৎকন্ঠায় অধিকাংশ পোশাক শ্রমিক
ফারহান ফারুক : ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কোর কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার ১৫ থেকে ২১ রোজার মধ্যে শ্রমিকদের বোনাস এবং আগামী মাসের শুরু চলতি মাসের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করেননি অধিকাংশ কারখানা মালিক। এমনটাই দাবী করছেন শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
ঈদের আগে তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়া নিয়ে এক ধরনের উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলো থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী জানা যায়, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পোশাক কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়েছে। আর ঈদের আগে অনেক কারখানা মালিক অর্ধেক বেতন দেবেন বলে শ্রমিকদের জানিয়েছেন। তবে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশ গার্মেন্টেই বোনাস দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখনো ঈদের বোনাস পাননি। কবে নাগাদ পাবেন তাও জানেন না।
গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়েছে। মালিকেরা পুরো বোনাস না দিয়ে মূল বেতনের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ টাকা দিচ্ছেন। অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকদের চলতি মাসের পূর্ণাঙ্গ বেতন দেওয়া হবে না বলেও মালিকরা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আজ (গতকাল) বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি তালিকা জমা দিয়েছি যারা এখনও বেতন-বোনাস দেয়নি। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছি। বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট এবিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের অর্ধেক বোনাস নিতে বাধ্য করার জন্যে স্থানীয় মাস্তানদের দিয়ে হুমকি দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটছে বলে শুনতে পাচ্ছি।
আমাদের তথ্য অনুযায়ী এখনো ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ কারখানায় বোনাস দেওয়া হয়নি। মালিকরা ঈদের আগে বোনাস দেবেন বলে আশ্বাস দিলেও আমরা ভরসা রাখতে পারছি না। বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ বলেন, আমরা বেতন বোনাসের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আশা করছি, যেসব কারাখানার বেতন-বোনাস দেয়া বাকী রয়েছে সেসব সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম