উম্মুল ওয়ারা সুইটি : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নতুন অর্থবছরের বাজেট জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণের অভিযাত্রায় একটি মাইলফলক। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত এ বাজেট হচ্ছে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনের মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণে আমাদের পথচলার ক্ষেত্রে আরও একটি মাইলফলক।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সবকিছু বিবেচনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। গতকাল বুধবার সংসদে তিনি একথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটে আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং এসডিজির লক্ষ্যসমূহ অর্জনে বিস্তারিত কর্মকৌশল সন্নিবেশিত করেছি।
বাজেট বাস্তবায়নে জনগণের সহযোগিতা চেয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণ ছাড়া বাজেটের স্বার্থক বাস্তবায়ন সম্ভবপর নয়। সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদসহ বিভিন্ন সময়ে বাজেট নিয়ে ‘উচ্চাভিলাষী’ কথার জবাবে মুহিত বলেন, এই সমালোচনাটি নতুন নয়। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে হতে বাজেটের আকার ক্রমে বাড়াতে হবে। ফলে বাজেট কিছুটা উচ্চাভিলাষী হবে সেটাই স্বাভাবিক।
সরকারের দু’মেয়াদে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সক্ষমতা বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। এডিপি বাস্তবায়ন এবং বিদেশি অর্থ সহায়তা ব্যবহারের সক্ষমতা নিয়ে যে সংশয় তা ঠিক নয়।
অর্থমন্ত্রী উন্নয়নখাতের প্রতিবন্ধকতা প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহের অভাব, ভূমির স্বল্পতা ও যোগাযোগ অবকাঠামোর অপ্রতুলতাকে চিহ্নিত করে বলেন, এসব বাধা দূর করতে গৃহিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পারলে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগে গতিশীলতা আসবে।
মুহিত বলেন, বর্তমানে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূচকে যে ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে তা আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পূর্বাভাস দিচ্ছে। বিশেষ করে ব্যক্তি খাতে ঋণ সরবরাহ, আমদানি, রপ্তানি, মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, প্রবাস নিয়োগ, কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি