আমিন ইকবাল : রমজানের শেষ দিনগুলোতে অযথা সময় নষ্ট না করে নিয়মিত ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতসমূহ সঠিকভাবে আদায় এবং বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতসহ নফল আমল করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজধানী ঢাকার জামিয়া ইসলামিয়া দিলুরোড মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আবু বকর সাদী। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ তিনি বলেন, পবিত্র রমজানের বরকতময় দিনগুলো আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে যাচ্ছে। তাই অযথা সময় নষ্ট না করে দিনের বেলা রোজা পালনের সাথে সাথে রাতে যতক্ষণ আগ্রহ থাকেÑ কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার ও নফল নামাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করব। জীবনের সব গোনাহের জন্য প্রভুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব।
মাওলানা আবু বকর সাদী বলেন, রমজানের শেষ দশকে বরকতময়ী একটি রাতের কথা বলা হয়েছে। সেই রাতটি হলো কদরের রাত। কদরের রাতের ফজিলত লাভের নিমিত্তে আমরা বেজোড় রাতসমূহে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সব ধরনের নফল আমল করার চেষ্টা করা করব। ইস্তেগফার, দরূদ শরিফ এবং মাসনুন দোয়াসমূহ পাঠ করব।
ইতিকাফের করণীয়-বর্জনীয় বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু কাজ আছে যা করা সর্বাবস্থায় হারাম। তবে ইতিকাফ অবস্থায় করা আরও মারাত্মক, যেমনÑ পরনিন্দা, চুগলখুরি, মিথ্যা বলা, ঝগড়া করা, কাউকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেওয়া, অন্যের দোষ-ত্রুটি তালাশ করা, কাউকে অপমানিত করা, অহংকার, হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি। এসব কাজ পরিপূর্ণভাবে পরিহার করা।
মাওলানা আবু বকর সাদী বলেন, ইতিকাফকারীর জন্য কোনো প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ডেকে দ্বীনি কথাবার্তা ছাড়া সাধারণ কথাবার্তা বলা মাকরুহ। আর আড্ডার মজলিস জমানো নাজায়েয। ইতিকাফ অবস্থায় অশ্লীল বই-পুস্তক পড়া অবশ্যই পরিহারযোগ্য। মোবাইলে ইন্টারনেটে গুনাহের উপকরণসমূহ থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে। মনে রাখবেনÑ ইতিকাফ ইবাদতের জন্য, ইবাদত বিনষ্টের জন্য নয়।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, ইতিকাফকারীর বড় ফায়দা হলো দুটিÑ এক. গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। সাধারণত মানুষ অন্য সময় যেসব গুনাহের কাজ করে থাকে মসজিদে অবস্থানকালে তা করে না। দুই. নেক কাজ করা ছাড়াও নেক কাজের সাওয়াব পাওয়া। হজরত রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ দশদিন ইতিকাফ করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরা পালন করার সওয়াব দান করা হবে।’ [শোয়াবুল ঈমান, হাদিস: ৩৬৮০]