আসামি ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর উপর নির্যাতন, আহত ২০
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জে আসামি ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীর ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে হবিগঞ্জ-মিরপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কয়েক গ্রামের মানুষ। এ ঘটনায় গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে দায়ী পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবি ও নিরীহ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে সড়কে গাছ ফেলে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে।
গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের আব্দাবখাই গ্রামের পশু চিকিৎসক আব্দুস সহিদ কিছুদিন আগে তার পুত্র জালালের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে এএসআই আব্দুল লতিফসহ একদল পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে জালালকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে নিয়ে আসার সময় রাস্তায় মশাজান গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত নজরুল ইসলাম খোকা ও তার সহযোগীকে দেখতে পায় পুলিশ। এ সময় জালালকে গাড়িতে রেখে ডাকাত ধরতে ধাওয়া করে পুলিশ। একপর্যায়ে ধাওয়া করে ডাকাতদের ধরতে পারলেও সুযোগ বুঝে হ্যান্ডকাপসহ জালাল পালিয়ে যায়। হ্যান্ডকাপসহ আসামি পালিয়ে যাওয়ার খবরটি তাৎক্ষণিক সদর থানায় পৌঁছলে ওসি মো. নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ জালালকে ধরতে মশাজান ও আব্দাবখাই গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি ঘরে তল্লাশি চালায়। এ সময় গ্রামের মহিলারা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর পুলিশ চড়াও হয়। পুলিশের এলোপাথাড়ি লাঠির আঘাতে মহিলা ও শিশুসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন জানান, কোন নিরীহ লোকদের গ্রেফতার করা হয়নি। ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গেলে গ্রামের লোকজন আমাদের বাধা প্রদান করেন এবং কোন আসামি আমাদের হাত থেকে পালিয়েও যায়নি।