সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতায় সরগরম রাজনীতির মাঠ
গলাচিপা পৌর নির্বাচন
মাসুদ রহমান, গলাচিপা : আসন্ন গলাচিপা পৌরসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। মেয়র ও কাউন্সিলর পদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা রীতিমতো তুঙ্গে উঠেছে। মনোনয়ন লাভের উদ্দেশে চলছে নানামুখী গ্রুপিং-লবিং। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে মনোনয়ন যুদ্ধ। মেয়র পদে নৌকার টিকিট বাগাতে যা তীব্র হয়ে উঠেছে। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত চলছে এ গ্রুপিং-লবিং আবার তদবির। এর পাশাপাশি পুরোদমে চলছে গণসংযোগ।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুসারে পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার নির্বাচন আগামী ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ১২ জুলাই। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার এটি তৃতীয় দফার নির্বাচন। দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে কারণে আসন্ন এ নির্বাচন স্থানীয় রাজনীতির মাঠকে সরগরম করে তুলেছে। শুরু হয়ে গেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। জানা গেছে, মেয়র পদে মনোনয়ন দৌড়ে কেবলমাত্র আওয়ামী লীগেই রয়েছেন অন্তত ৯ জন নেতা। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও বলছেন অনেকে।
সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা হচ্ছেন-বর্তমান পৌর মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ আবদুল ওহাব খলিফা, সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামীম মিয়া, আরেক সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট আবদুল খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার মু. শাহ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মু. শাহিন শাহ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাইনুল ইসলাম রনো, শওকত হোসেন বুলু ও মামুন আজাদ ও কাওসার নাইম রেজা। এদের মধ্যে দলের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন-তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। বিশেষ করে বর্তমানে পৌর আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’টি কমিটি বিদ্যমান রয়েছে। এর মধ্যে কোন কমিটির সদস্য বা কাউন্সিলরা মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারবেন, এনিয়েই জল্পনা-কল্পনা বেশি। এদিকে সংসদ সদস্য আখম জাহাঙ্গীর হোসাইনের সমর্থনও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে, এমন মত রয়েছে অনেকেরই।
তিনটি সংরক্ষিত এবং নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে এ মূহুর্তে ৪০ জনের মতো সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম রয়েছে। এ সংখ্যাও বাড়তে পারে। সর্বশেষ গত পৌর নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত মেয়র পদে পৃথক ভাবে অংশ নিয়ে পরাজয় বরণ করে। এবার এখন পর্যন্ত এ দু’টি দলের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের কেউ মাঠে কারও উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে প্রায় সবগুলো ওয়ার্ডেই বিএনপির সম্ভাব্য একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে।