উত্তরাঞ্চলের রেল যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি
সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) : ঢাকা-নীলফামারী রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেসে ট্রেনের যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। পূর্বে ৭টি যাত্রীবাহী বিশিষ্ট ট্রেনটিতে আসন সংখ্যা ছিল ৪৬৭। বর্তমানে ট্রেনটিতে আরও ৫টি যাত্রীবাহী কোচ সংযুক্ত করায় আসন সংখ্যা বেড়ে ৯১৫ উন্নীত হয়েছে।
বর্ধিত কলেবরের এ আন্তঃনগর ট্রেনটি বৃহস্পতিবার রাত থেকে পূর্ব নির্ধারিত সময় সূচি অনুযায়ী ঢাকা-নীলফামারী রেল পথে চলাচল করবে। বিলাসবহুল ও সাধারণ আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু পার্বতীপুরে নয় গোটা উত্তরাঞ্চলে রেল যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পার্বতীপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, উত্তরাঞ্চলের ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছে আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনটি খুবই জনপ্রিয়। রাতে উঠলে সকাল সকাল ঢাকা পৌঁছা যায়। মাঝে মধ্যে ট্রেনের বিলাসবহুল কোচ বার্থ দেয়ায় যাত্রীদের খুব অসুবিধা হয়। তবে বর্তমানে ট্রেনের সব ধরনের আসন বৃদ্ধি করায় রেল কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাই।
পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জিয়াউল আহসান জানান, বর্র্ধিত ট্রেনটিতে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত শয়ন বাথ আসন থাকছে ১১টি, শীতাতাপ চেয়ার (স্নিগ্ধা) আগে ২০টি আসন ছিল বর্তমানে ৫টি বাড়িয়ে ২৫টি করা হয়েছে, শোভন চেয়ার ছিল ৯২টি, সেখানে আরও বাড়ানো হয়েছে ৯২টি। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন পার্বতীপুরের জন্য আসন নির্ধারিত হয়েছে ৬টি শয়ন বাথ, ২০টি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার আসন ও ৭২টির ক্ষেত্রে আরও যুক্ত হচ্ছে ৯২ আসনের অতিরিক্ত একটি শোভন কোচ।
ভবিষ্যতে এ ট্রেনটিকে ডবল র্যাক করে এ রুটে দুটি ট্রেন চালানোর চিন্তা ভাবনা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা শওকত জামিল জানান, রেলওয়ের সেবাকে আরও গতিশীল করতে ট্রেনে ট্রেনে কোচ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা ও সেবা বৃদ্ধির সাথে সাথে রেলের আয় বাড়বে।