ব্রিটেনের ২০০০ কোটি পাউন্ডের অবকাঠামো খাত ঝুঁকিতে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রেক্সিট গণভোটের পর যুক্তরাজ্যের অবকাঠামো খাত ঝুঁকির মুখে পড়েছে। উদ্বেগ দেখা দিয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের মাঝে। ফলে তারা এ খাতে বিনিয়োগ স্থগিত করা শুরু করেছে এরই মধ্যে। এর ফলে সেখানে পরিকল্পিত ২০০০ কোটি পাউন্ডের অবকাঠামো খাতের বিনিয়োগ পড়েছে ঝুঁকিতে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এতে বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট ভোটের পর অবকাঠামো নির্মাণ খাতে মারাত্মক এক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগামী বছরের শুরুর দিকে এ খাতের পিঠ ঠেকে যাবে দেয়ালে। এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন বলেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সেগুলো চলছে। কিন্তু এখন থেকে ৬ বা ৭ মাসের মধ্যে যেসব প্রকল্প শুরু হওয়ারকথা তার বিপুল সংখ্যক চলে যাবে হিমঘরে। নির্মাণ খাতের প্রকল্প বাতিল করার বিপুল ঝুঁকি রয়েছে। এ অবস্থা যদি দু’ বছর চলতে থাকে তাহলে অবকাঠামোগত কোম্পানিগুলোর জন্য তা হবে দীর্ঘ সময়। এ দু’বছর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিচ্ছেদ নিয়ে সমঝোতা প্রক্রিয়া চলবে। উচ্চ পর্যায়ের অনেক প্রকল্প নিয়ে বড় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এসব প্রকল্প মাঝপথে আটকে যেতে পারে। এমন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে হিথ্রোতে তৃতীয় রানওয়ে এবং সমারসেটে হিঙ্কলে পয়েন্ট পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র। তবে কম পরিচিত যেসব প্রকল্প সেগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে দ্বিধা ক্রমশ বাড়ছে। এমন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে এসেক্সে লন্ডন গেটওয়ে বন্দর। এ প্রকল্পটি পরিচালনা করছে দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড। ২০১৩ সালে এ প্রকল্প চালু হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর মাথ্য অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে। সূত্র বলেছেন, ভয়াবহ এক অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এটা এ উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্যবাহী বিপুল সংখ্যক কন্টেইনার এটাকে ডক হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ছোট ছোট জাহাজ সরাসরি এখান থেকে ইউরোপে ছেড়ে যেতে পারে।
কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে ছোট জাহাজগুলোকে বিকল্প বেছে নিতে হবে। তারা এরই মধ্যে হামবার্গ, অ্যামস্টারডামের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। সূত্র বলেছেন, ব্রেক্সিটের প্রভাববে যুক্তরাজ্যের অনেক উচ্চাভিলাষি পরিকল্পিত প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই অনিশ্চয়তা গ্রাস করছে সবকিছু। এমন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ম্যানচেস্টার ও লিভারপুলে পরিবহন প্রাণকেন্দ্র আটলান্টিক গেটওয়ে। তবে মে মাসে মাসিক মারকিট/সিআইপির জরিপ অনুযায়ী, ব্রেক্সিট ভোটের আগেই সেখানকার অবকাঠামো খাতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এক তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান তখন বলেছিল যে, এই গণভোট তাদের স্বাভাবিক কাজে বিঘœ ঘটাবে।