ট্রাম্পকে ‘হত্যার চেষ্টাকারী’ সেই ব্রিটিশ তরুণ অভিযুক্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাইকেল স্যানফোর্ডযুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টাকারী সন্দেহে দুই সপ্তাহ আগে গ্রেফতার হওয়া সেই ব্রিটিশ তরুণকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালতে তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অস্ত্র রাখা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি সংক্রান্ত অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার দশ বছরের জেল এবং সাড়ে সাত লাখ ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান খবরটি নিশ্চিত করেছে। দ্য গার্ডিয়ান
সম্প্রতি লাস ভেগাসের ট্রেজার আইল্যান্ড ক্যাসিনোতে আয়োজিত ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে ঢুকে পড়েন মাইকেল স্যানফোর্ড নামের ২০ বছর বয়সী ওই তরুণ। ট্রাম্পকে গুলি করতে তিনি এক পুলিশ কর্মকর্তার বন্দুক চুরি করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের দাবি, মাইকেল নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি ট্রাম্পকে গুলি করতে চেয়েছিলেন। গ্রেফতারের পর মাইকেলকে নেভাদার ফেডারেল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হলে ফেডারেল আদালত স্যান্ডফোর্ডকে ‘সমাজের জন্য ক্ষতিকর’ উল্লেখ করে ৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তাকে ৬ জুলাই আবারও আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
বুধবার (২৯ জুন) ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি জানায়, মাইকেলকে অভিযুক্ত করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ হাতে রয়েছে। স্যান্ডফোর্ডের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্রে বলা হয়, তিনি সোয়েরকোস্কি নামক এক মার্কিন তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছেন, তিনি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার জন্য লাস ভেগাসে গিয়েছিলেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়,তিনি বন্দুক চালনা শেখার জন্য ব্যাটলফিল্ড ভেগাস নামক একটি শুটিং রেঞ্জে গিয়েছিলেন এবং জীবনে প্রথমবারের মতো গুলি চালিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ২০ রাউন্ড গুলি চালান। তবে মাইকেলের বাবা পর ডেভির দাবি তার ছেলের মধ্যে কখনও সহিংস মনোভাব ছিল না। তিনি বলেন, ‘ও কখনও মাছিকেও আঘাত করতো না। আমাদেরকে মাছি নিধনকারী স্প্রে ব্যবহার করতে নিষেধ করতো। ও চাইতো না কোনওমাছি মারা যাক।’
ডেভির দাবি, তার ছেলেকে কেউ উসকানি দিয়েছে এবং ট্রাম্পের ওপর হামলার চেষ্টা চালাতে বাধ্য করেছে। এদিকে মাইকের স্যানফোর্ডের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়নি। তবে সোমবার তার জামিনের আবেদনটি ফেডারেল ম্যাজিস্ট্রেট নাকচ করে দিয়েছেন।