ব্যাংকিং সেক্টরের লুটপাট রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে : অর্থমন্ত্রী
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ব্যাংকিং সেক্টরের লুটপাট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ব্যাংকিং সেক্টরে যে লুটপাট হচ্ছে, এটা নিয়ে খুবই চিন্তিত এবং এটা যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগে ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে বরাদ্দকৃত অর্থের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ব্যাংক হচ্ছে লুটপাটের আঁধার। লুটপাট হবে আর আমরা টাকা দিয়ে যাবো এটা হবে না। অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেরা টাকা জোগাড় করে দেন না। এখন ছিনতাইকারীরা রাস্তায় ছিনতাই করে না। সমস্ত ছিনতাই হয় এখন ব্যাংকে। সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, টাকা দেওয়ার কোনো অর্থ নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। স্বতন্ত্র সদস্য রস্তম আলী ফরাজী বলেন, আগে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনা দরকার। যে টাকা লুটপাট হয়েছে, পাচার হয়েছে। সেই টাকা আনার জন্য জাতিকে আশ্বস্ত করবেন কি না? সংসদ সদস্যর এমন সমালোচনার উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, যেসব ছাঁটাই প্রস্তাব এসেছে, প্রস্তাবকরা সবাই ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে সেই সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ এবং কনসার্ন এক্সপ্রেস করেছেন। সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ব্যাংকিং সেক্টরে যে লুটপাট হচ্ছে এটা নিয়ে আমিও খুবই চিন্তিত এবং এটা যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদেক্ষপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা টাকার দায়িত্ব গ্রহণ করি। কারণ এই টাকাটা গরিব জনগণেরও হতে পারে। আবার ধনী জনগণের হতেও পারে। এমন হলে তাদের অসুবিধা হয়। তাদের অসুবিধা রাষ্ট্র করতে পারে না। এজন্য রাষ্ট্র এই দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং করছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা তদন্ত চালাচ্ছি এবং তদন্তের পরে মামলাও হচ্ছে। দুদকে বেসিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দুদকের কাছে আছে।