সাক্ষীদের নিরাপত্তায় কেন নির্দেশ নয় : হাইকোর্ট
এস এম নূর মোহাম্মদ : ফৌজদারি মামলায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ বুধবার এই রুল জারি করেন। তবে সার্টিফাইড কপি হাতে পাওয়ার পর আইনজীবীরা গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন কমিশনার, কোতোয়ালি থানার ওসি, তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সúেক্টর শিবু প্রসাদ চন্দ্র ও আসামি অশোক বিশ্বাসসহ ১০ জনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া রুল বিচারাধীন অবস্থায় সাক্ষী ও রিট আবেদনকারী কমল কুমার দেব নাথ ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন চৌধুরী সামসুল আরেফিন। তার সঙ্গে ছিলেন ফাহিমা পারভীন। ২০১১ সালের ২৪ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতোয়ালি থানায় অশোক বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির নামে পুলিশ ১১৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে মামলা করে। মামলায় ইয়াবা জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন কমল কুমার দেবনাথ। সাক্ষী হওয়ায় এই মামলার আসামি তাকে হুমকি দিতে থাকে। ওই মামলায় গত বছর কমল কুমার সাক্ষ্য দেন। এরপর থেকে তাকে ওই ব্যক্তি হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একই বছরের ১৪ অক্টোবরের আদালতে তিনি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে উপ-পরিদর্শক শিবু চন্দ্রকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে ওই কর্মকর্তা মনগড়া প্রতিবেদন দেন। কমল কুমার ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন। ফলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম পুনরায় ওসি জসিম উদ্দিনকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে সেই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেও নারাজি আবেদন করেন তিনি। পরবর্তীতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আইজিপি বরাবর একটি আবেদন করে কমল কুমার। পুরো বিষয়টি সিকিউরিটি সেলের মাধ্যমে তদন্ত করার আর্জি জানানো হয় আবেদনে। একইসঙ্গে সাক্ষী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা দিতে বলা হয়। কিন্তু আবেদনের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে গত ২৭ জুন একটি রিট দায়ের করা হয়। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম