নাটকীয় মোড় নিচ্ছে মিতু হত্যাকা-
আজাদ হোসেন সুমন ও সুজন কৈরী : এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যার ঘটনা নাটকীয়তায় মোড় নিচ্ছে। একদিকে এসপি বাবুলের অব্যাহতি পত্রে সই অতপর গ্রেফতার হচ্ছেন কবে- এমন প্রশ্ন। অন্যদিকে, মিতুর বাবা জোর গলায় বলেছেন, বাবুল আমার মেয়েকে হত্যা করেনি। আমরা চুপচাপ সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্তে হেরফের হলে এসপি বাবুল আর তিনি হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই ঘটনার নেপথ্যে হত্যাকা-ের বাইরে আরও স্পর্শকাতর বা বড় কোনো বিষয় থাকতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
যদি তাই না হবে তাহলে হত্যার নির্দেশদাতা বা কারণ প্রকাশ করতে গড়িমসি করছে কেন পুলিশ। এর আগে নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলায় লে. কর্নেল তারেক সাঈদসহ একাধিক সেনা কর্মকর্তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসপি বাবুল জড়িত থাকলে তাকে গ্রেফতার না করার কোনো যুক্তি নেই। পুলিশ নির্দেশদাতার ব্যাপারে যতই রাখঢাক করছে। জনমনে সন্দেহ সংশয় ততই বাড়ছে। জন্ম নিচ্ছে নানা প্রশ্নের।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এসপি বাবুল আক্তারের অনেক শত্রু পুলিশ ডিপার্টমেন্টই বিদ্যমান। যা দিন দিন প্রকাশ হচ্ছে। গতকাল মেরাদিয়ার ভূইয়াপাড়ার নিজ বাসায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, তদন্ত সুষ্ঠুভাবে হওয়া দরকার। আমরা অপেক্ষা করছি তদন্ত সুষ্ঠু হবে ও প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়বে সেই জন্য। কিন্তু তদন্তে ব্যর্থ হলে বা গড়িমসি করে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হলে বসে থাকবোনা হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেব।
গতকালও মিতু হত্যার বিষয়টি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। মিতুর বাবা বলেছেন, বাবুলের কারণে যারা সমস্যায় ছিল বেশি সুবিধা করতে পারছিল না তারা নিজেদের পথের কাঁটা সরাতে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বাবুলের সততা ও সাফল্যে যারা ঈর্ষান্বিত তারাই এসব করেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাবুল নির্মম ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, আরও কিছু সময় অপেক্ষা করবো। এরপর মুখ খুলবো। মুখ খললে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় কর্মকর্তারও মুখ বন্ধ হবে।
গতকাল মিতুর বাবার দেওয়া আক্রমণাত্মক বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এ হত্যাকা-ে নাটকীয়তার আভাস পাওয়া যায়।
মুসা এখন কোথায় দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় মুসার নাম রয়েছে। কিন্তু প্রকারান্তরে মুসা আছে পুলিশ হেফাজতে। মিতু হত্যাকা- নিয়ে ভেতরে ভেতরে অনেক কিছু হচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছু প্রকাশ করা হচ্ছে না। এখন জনমনে যে প্রশ্নটি বিদ্যমান সেটি হচ্ছে বাবুল নিজেই কি মিতু হত্যার নির্দেশদাতা বা পরিকল্পনাকারী। পুলিশ কি ছাড়ার শর্তে তাকে বিশেষ বিবেচনায় ছাড় দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। নাকি বাবুলকে বলির পাঠা বানানো হচ্ছে। নাকি মিতু হত্যাকা-ের ঘটনার পেছনে এমন কিছু রয়েছে যা প্রকাশ পেলে থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসবে। মিতুর বাবার আক্রমণাত্মক বক্তব্যের পর এ আশঙ্কা কি অমূলক।