লিফট ছিঁড়ে নয়, গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে আলাউদ্দিন টাওয়ারে আগুন
মাসুদ আলম : লিফট ছিঁড়ে নয়, জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরিত হয়ে রাজধানীর উত্তরার ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। মার্কেট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, ওই মার্কেটে ছিল তিতাস কোম্পানির গ্যাসের লাইন। পূর্বানুমান থাকা সত্ত্বেও কেন ওই ভবনের গ্যাসের লাইন মেরামত করা হয়নি, তা জানতে চাওয়া হবে এবং তিতাসের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করতে পারে ফায়ার সার্ভিস। সংশ্লিষ্ট মার্কেট তত্ত্বাবধানকারী কমিটির সুষ্ঠু তদারকি ছিল না। গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাসেরও ছিল অবহেলা।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। সেখানে মার্কেটের গ্রাউন্ড ফ্লোর পরিদর্শনে গিয়ে প্রথমেই আমার মনে হয়েছিল লিফট ছিঁড়ে নয়, বিস্ফোরণের কারণে অগ্নিকা- ও গ্লাস ভেঙে বেরিয়ে আসার ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সবার দৃষ্টি ছিল লিফটের দিকে। তদন্তের পর গ্যাসের বিষয়টি উঠে আসে। ওই ভবনে গ্যাসের লাইনে ক্রটি রয়েছে। বিষয়টি মার্কেট কমিটির পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাসকে জানানো সত্ত্বেও ত্রুটি সারানো হয়নি। তিতাসের তদারকির অভাব, দীর্ঘদিন সার্ভিসিং না করায় গ্যাস জমে যায়। ফলে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিকভাবে সবাই লিফট প্রতিষ্ঠানের দিকে আঙ্গুল উঠালেও এতে মার্কেট ও তিতাসের দায় পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে ঈদের পর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ফায়ার সার্ভিস তিতাসের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতিও নিয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান বলেন, প্রাথমিকভাবে এতো বড় বিষয়ে বলা সম্ভব নয়, তদন্ত চলছে। তবে মার্কেট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাব ও গাফিলতি লক্ষ্য করা গেছে।
উত্তরা বিভাগ পুলিশের ডিসি বিধান ত্রিপুরা বলেন, পুলিশ ও তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ঘটনার কারণ ও স্ব স্ব অবস্থান জানতে তিতাস, বিদ্যুৎ, মার্কেট কমিটি, লিফট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সকলের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটি যে মতামত দেবে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত ২৪ জুন সন্ধ্যায় উত্তরার ট্রপিক্যাল আলাউদ্দিন টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৭ জন মারা যান। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম