ঈদ ছুটিতে মাঠ প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
দীপক চৌধুরী : ঈদের নয়দিনের ছুটিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলার এসপি, থানার ওসিসহ পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ সারাক্ষণ সতর্ক থাকবে। নিজ নিজ জেলার এসব বিষয় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) সার্বক্ষণিক তদারকি করবেন। সম্প্রতি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
গত বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনারদের এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ নির্দেশনা দেন।
বিভাগীয় কমিশনারদের উদ্দেশে মুখ্য সচিব বলেন, ৯ দিনের ছুটিতে জেলা প্রশাসকদের সতর্ক রাখবেন। কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে ডিসিরা যেন সজাগ থাকেন।
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছেÑ সরকারকে বেকায়দায় ফেলা ও বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে অগ্রহণযোগ্য বা ‘অযোগ্য’ প্রমাণ করার জন্য লন্ডন থেকে নানারকম চেষ্টা চলছে। মাঠপর্যায়ে এক শ্রেণির কর্মরত কর্মকর্তাদের অবহেলা ও দায়িত্ববোধের অভাবের সুযোগে অঘটন ঘটিয়ে সরকারের অগ্রগতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহল সচেষ্ট রয়েছে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের বারটি জেলা, দক্ষিণবঙ্গের ৪টি, সিলেট বিভাগের ২টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬টি, ময়মনসিংহের ২টি জেলা বেছে নেওয়া হয়েছে।
রোজার ঈদ সামনে রেখে শবেকদরের পরদিন আগামী ৪ জুলাই সরকারি ছুটি ঘোষণা হওয়ায় আগে ও পরে শুক্র-শনিবার মিলিয়ে এবার টানা ৯ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সরকারি কর্মকর্তাদের মুখ্য সচিব বলেন, ৯ দিনের ছুটি। ছুটি যত লম্বা আপনাদের রেসপনসিবিলিটি তত বেশি।
অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো আট বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং আট বিভাগীয় কমিশনার বুধবার এ চুক্তিতে সই করেন। কাজের ব্যবস্থাপনায় মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে এপিএ করে। এরপর মন্ত্রণালয়গুলো তাদের অধীন দফতর ও সংস্থার সঙ্গে এপিএ করে। এবার মাঠ প্রশাসন, অর্থাৎ বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে এপিএ করল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে চুক্তি শেষে শফিউল আলম বলেন, আগে লিগ্যাল কোনো বাইন্ডিং ছিল না। এখন যেহেতু চুক্তি করলাম পারস্পরিকভাবে দায়বদ্ধতার মধ্যে চলে এসেছি। প্রথমবারের মতো মাঠপর্যায়ের কাজকে টার্গেটের মধ্যে আনা হয়েছে।