খালেদা জিয়া কি মানুষের নিরাপত্তা চাইবেন না : রিজভী
শাহানুজ্জামান টিটু : বিএনপি চেয়ারপারসন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত জঙ্গি ফাইজুল্লাহ ফাহিমের জন্য মায়াকান্না করছেন বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কঠোর সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, দেশের একজন নেত্রী, তিনি (খালেদা জিয়া) কি জনগণের মনের আবেগের প্রতিধ্বনি করবেন না? তিনি কি মানুষের নিরাপত্তার কথা বলবেন না?
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে ফাহিমকে রিমান্ডে নিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, এই হত্যা সাজানো সরকারের কারসাজি বলে মানুষ বিশ্বাস করে। এভাবে যদি আপনার-আমার সন্তানকে, ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে জঙ্গি সাজিয়ে হত্যা করে, তখন মানুষের নিরাপত্তা থাকবে কোথায়? আমরা বলতে চাই, সেই নিরাপত্তার কথা ও মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিধ্বনি করেছেন খালেদা জিয়া।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে না নিয়ে এসে, তদন্ত না করে, বিচার না করে, ‘বন্দুকযুদ্ধে’র নামে বন্দিকে দস্যুদের মতো হত্যা করে পরবর্তীতে সেই হত্যাকা- নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রীর মুখে মৃদুমন্দ হাসি ফুটে উঠে, সেই হাসি কি হায়েনার হাসি নয়?
হেফাজতে থাকা বন্দিদের মৃত্যুর বিচার করার আশ্বাস দিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বন্দিশালায় কোনো বন্দিকে হত্যা করা হলে তার জন্য সম্পূর্ণরূপে এই সরকার দায়ী। মানুষের খুনের অভিযোগে সরকারের নির্দেশদাতা ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবেই, এটা দেশ ও বিদেশের সর্বস্বীকৃত বিধান।
রিজভী বলেন, তারা মনে করেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলকে জঙ্গিবাদে যুক্ত করতেই সরকার নিজে জঙ্গি সৃষ্টি করে দেশব্যাপী খুনোখুনি করাচ্ছে।
সরকার তার অবৈধ স্বত্ত্বা নিয়ে উদ্বিগ্ন বলেই কখন কী ঘটে যায়, এই আশঙ্কায় সবসময় একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে চায়। নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতাই সরকারের টিকে থাকার গ্যারান্টি।
রাজধানীর সবুজবাগের বৌদ্ধবিহারের প্রধানকে হত্যার হুমকিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তার যথাযথ নিরাপত্তার দাবিও জানান তিনি। ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিবের জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দাও জানান বিএনপির এই নেতা। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম