ইয়াবা মামলায় ৫ দিনেই ইয়াবা ব্যবসায়ীর জামিন
মামুন খান : ইয়াবা বিক্রির সময় পুলিশকর্তৃক আটক ও মামলার পর আদালতে প্রেরণ করা হয় ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. বিপ্লব (৩৫) কে। এরপর আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণের ৫ দিনের মাথায় জামিনে বের হয়ে আসেন এই ইয়াবা ব্যবসায়ী। গত বুধবার আদালত তাকে জামিন দেন।
সূত্রমতে, রাজধানীর রূপনগর থানাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খায়েরের বাড়ির সামনে গত ২৩ জুন বেলা ৪টার দিকে ইয়াবা বিক্রয়কালে ২৮ পিস ইয়াবাসহ আটক হন মো. বিপ্লব (৩৫)। ওইদিন তাকে রূপনগর ১০(৬)১৬ নম্বর মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে পাঠানো হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। গত ২৯ জুন এই আসামিকে মাত্র ৫ দিনের মাথায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তসরুজ্জামান জামিন মঞ্জুর করেন।
সাধারণত ঢাকা সিএমএম আদালত প্রতি পিস ইয়াবা বা ফেনসিডিল উদ্ধারের জন্য ৩ দিন করে হাজতবাস হিসাব করে জামিনের প্রার্থনা মঞ্জুর করে থাকেন। সে হিসেবে এ আসামির সিএমএম আদালত থেকে প্রায় ৩ মাস পর জামিন হওয়ার কথা।
অন্যদিকে মহানগর দায়রা জজ ইয়াবা বা ফেনসিডিল উদ্ধারের মামলায় প্রতি পিসের জন্য কমপক্ষে ২ দিন গণনায় জামিন আবেদন বিবেচনা করে থাকেন। সে হিসাবে মহানগর দায়রা জজ আদালতও এ আসামির প্রায় ২ মাসের আগে জামিন বিবেচনা করতেন না।
অন্যদিকে ভাটারা ৩৫(৬)১৬ নম্বরের ১০ পিস ইয়াবার মামলায় ৩ দিন কারাবাসবরণকারীর গতকাল বৃহস্পতিবার জামিন হয়নি বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল মজুমদার। তিনি বলেন, আমি খুশি করতে পারি নাই, তাই জামিন পাইনি।
এদিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ৬(১১)১৫ নম্বরের চাঁদাবাজির একটি মামলায় রাজু ও সাজু নামে দুই আসামির বেআইনিভাবে জামিন হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সম্পর্কে আইনজীবী খায়রুল ইসলাম লিটন জানান, মামলাটিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জামিন নামঞ্জুর হয়। কিন্তু তার এক ঘণ্টার মধ্যেই আতিকুল ইসলাম নামে আরেক আইনজীবী শুনানি করে ওই আসামিদের জামিন মঞ্জুর করিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সামনে পবিত্র ইদুল ফিতরের কারণে সিএমএম আদালতে এভাবেই শতশত ইয়াবা, ফেনসিডিল, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ইত্যাদি অপরাধের মামলায় জামিন বাণিজ্যের ঘটনা ঘটেছে। ঈদ উপলক্ষে দেশে অপরাধ প্রবণতা কমানোর জন্য যে সকল অপরাধীদের কারাগারে থাকা উচিৎ সে সকল অপরাধীরা জামিন বাণিজ্যের কারণে কারাগারের বাইরে চলে আসছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম