সঞ্জয়-সালমান এক সঙ্গে!
সজল সরকার : বলিউড তারকাদের মধ্যে ঠান্ডাযুদ্ধ লেগেই থাকে। অ্যাকশন তারকা সঞ্জয় ও সালমানের মধ্যে এরকম ঠান্ডা যুদ্ধ বেশ আগে থেকেই। ‘এক তারকা এদিকে তো আরেক তারকা অন্যদিকে’- হরহামেশা এরকম ঘটনার মধ্যে এবার সালমান-সঞ্জয়ের মিলন ঘটেছে। স্পেনের মাদ্রিদে তারা একসঙ্গে পার্টি করেছেন বলে খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। আইফা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বলিউড তারকারা একসঙ্গে হয়েছিলেন। সে সময় পার্টিবয় সালমান খান হোটেলে এক পার্টির আয়োজন করেন যেখানে বলিউডের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে খোদ সঞ্জয় দত্তও সেখানে হাজির। সঞ্জয় দত্ত জেল থেকে বের হওয়ার পর সালমান খান কখনও তার সঙ্গে দেখা করতে যাননি। জেল থেকে বের হয়ে হয়ত আর কোনো ঠান্ডাযুদ্ধে যেতে চান না সঞ্জয়, তাই পার্টি করলেন সবার সঙ্গে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
গাজী মিরান : দীর্ঘকাল ধরে বিচ্ছিন্ন এলাকায় অনেকটা বন্দি সময় কাটানোর পর গত বছর ৩১ জুলাই মধ্যরাতে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হয়েছিল ১১টি সাবেক ছিটমহলের মানুষ। এরপর বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এবারই প্রথম রোজার ঈদ পালন করতে যাচ্ছেন ছিটমহল বাসিন্দারা। বিবিসি
৬৮ বছর ধরে নানা আইনের জালে বন্দি থাকা ঐ সব মানুষের কাছে এবারের ঈদ কি পরিবর্তন হতে যাচ্ছেন? বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে ছিটমহল বিনিময় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা বিগত ৬৮ বছর একটা বন্দিজীবনে মধ্যে থেকে ঈদ পালন করেছিলাম। সেই বন্দিজীবন থেকে মুক্ত হয়ে এবারই প্রথম বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয়ে আনন্দ উল্লাসের মধ্যদিয়ে ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এবং গত দিনগুলোর মত আইনি বাধা না থাকায় আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করাসহ ঈদ পালন করতে পারবো। যার ফলে বর্তমানে আমাদের মাঝে একটা ঈদের বাড়তি আনন্দ বিরাজ করছে।
এই ঈদে কি ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন? জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ছেলে, মেয়ে, বাবা, মা, ভাই, বোনদের নতুন কাপড় কিনে দিচ্ছি এবং নতুন নতুন খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এছাড়া সকলে মিলে ঢাকাসহ বিভিন্ন মার্কেটে কেনাকাটা করতে যাচ্ছি এবং সকলে সকলের বাসায় যাওয়াসহ একে অপরকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করছি। তিনি বলেন, আমাদের এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোক আছে তারাও আমাদের আনন্দের সাথে মিশে গেছে। এবং আমরা তাদের মাঝেও আগের মত কোনো চিন্তার ছাপ দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং তারাও এই ঈদে আমাদের সাথে ঈদ উৎসব করবেন। তাই আমরা আশা করি সকলে বিগত ৬৮ বছরের বন্দি ঈদকে ভুলে গিয়ে নতুন একটি ঈদে আনন্দ নিতে যাচ্ছি। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ