ভোলায় ঈদ বাজারে সক্রিয় পকেটমার-ছিনতাইকারী
অচিন্ত্য মজুমদার, ভোলা : ঈদকে সামনে রেখে ভোলার বাজার ও মার্কেটগুলোতে জম জমাট কেনাকাটা শুরু হয়েছে। এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পকেটমার ও ছিনতাইকারী চক্র। ফলে প্রিয়জনের জন্য ঈদের বাজার করতে এসে টাকাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খুয়াচ্ছেন অনেকেই। প্রতিদিন সকাল থেকে চকবাজার, জিয়া সুপার মার্কেট, কেজাহান মার্কেট, জাহাঙ্গির প্লাজা, হক মার্কেট, তালুকদার ভবন, আমেনা প্লাজাসহ শহরের মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা শত শত মানুষের ঢল নামে।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে চাহিদা ও পছন্দমত রকমারী পণ্য কিনে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু পকেটমার ও ছিন্তাইকারী চক্র ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বেশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গত তিন দিনে অন্তত ১৫ জন পথচারী এই চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হারিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ রয়েছে আতংকে। তবে ছিনতাই ও পকেটমার বন্ধে ইতিমধ্যেই পুলিশের বিশেষ কয়েকটি টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, গত তিন দিনে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি, পকেটমার ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে অন্তত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া শহরের মার্কেটগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশি পাহাড়া বসানো হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, শহরের চক বাজারের গুরপট্টি এলাকায় বুধবার দুপুরে মোটরসাইকেলে থাকা এক ব্যাক্তির পকেট থেকে মোবাইল ও টাকা নিয়ে ছিনতাইকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এর আগের দিন মঙ্গলবার ওই একই এলাকায় এক যুবকের পকেটমারের ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত সোমবার নিউ লোকনাথ বস্ত্রালয়ের সামনে ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সেকান্দার মিয়া ঈদের কেনাকাটা করতে এসে পকেটমারের শিকার হন। তার কাছে থাকা দই হাজার টাকা কে বা কারা পকেট কেটে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ইলিয়াছ (২০) ও আজাদ (২৫) নামের দুই পকেট মারকে আটক করলে তারা ওই টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে।
পরে ডিউটিরত পুলিশ ওই দুই পকেটমারকে থানায় নিয়ে যায়। অপরদিকে চকবাজারের ফাহিমা বস্ত্রালয়ের ব্যবসায়ী মো. জসিম জানান, মঙ্গলবার তার দোকানে আলীনগরের এক মহিলা শাড়ি কিনতে আসেন। শাড়ি পছন্দ শেষে দাম দিতে গিয়ে তিনি দেখেন তার ব্যাগে টাকা ও মোবাইল কোনটাই নেই। ওই মহিলা জানান, পার্শবর্তী শাড়ীর দোকান গার্ডেনিয়া থেকে কেনাকাটা শেষে এখানে এসেছেন, কিন্তু এরই মধ্যে তার মোবাইল-টাকা পকেটমার কৌশলে ব্যাগ থেকে নিয়ে গেছে।
ভোলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে যাতে ঈদের সময় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে। পকেটমার ও ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বন্ধে পুলিশের পাশাপাশি সাধারন মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।