পানিসংকটে আমন ফসল ঝুঁকির মুখে
মো. আব্বাস উদ্দিন, ঝিনাইগাতী : ভরা বর্ষার মৌসুমে চলছে দীর্ঘ খরা। শেরপুর জেলা ৫টি উপজেলার সিংহভাগ লোক কৃষি ফসল ধান চাষ করে থাকে। খরার কারণে আমন বীজতলার বীজ চাষীরা উৎপাদন করতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ এ বর্ষার সময় মাঝে মধ্যে নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ার কথা। বৃষ্টির পানি না থাকায় কৃষকেরা বীজ উৎপাদন সংকটে পরেছে।
অনেক কৃষকই বিকল্প চেষ্টা করে সেচ এর মাধ্যমে আমন বীজ চারা করছে। বৃষ্টি সংকটের কারণে নদী-নালা, খাল-বীল শুকিয়ে চৌচির। যে কারণে মাছেরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, অত্র শেরপুর জেলার নদী-নালা, খাল-বীল থেকে দেশীয় জাতের মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে যোগান দিয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির স্বল্পতার কারণে মাছের যেরকম সংকট দেখা দিয়েছে, তেমনি আগাম ফসল আমন অনেকটাই ঝুঁকির মুখে। এভাবে খরা চলছে থাকলে সদ্য আমন ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে। এবংকি আমন ফসল উৎপাদন অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়বে।
প্রকাশ থাকে যে, আমন ফসল উৎপাদন করতে কৃষকের কম খরচ হয়। তাই কৃষকরা আমন ফসল উৎপাদনে অনেকটায় আগ্রহী। আর এই উৎপাদিত ফসল দিয়েই তাদের নিজেদের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি ধান বাজারে বিক্রি করে অন্যান্য চাহিদা মিটায়। কিন্তু এ বছরের গতি প্রকৃতি অনেকটায় বিরূপ প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই অত্র এলাকার কৃষকেরা আমন চাষ নিয়ে সংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যদি আগামী ১/২ সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হয় তাহলেএকদিকে যেমন আমন বীজতলার অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হবে তেমনি আমন ফসল কৃষকরা উৎপাদনে বাধার সম্মুখিন হবে।
এব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা কোরবান আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রকৃতির ওপর আমাদের কোন হাত নেই, যদি বৃষ্টির তেমন সংকট দেখা দেয়, তাহলে কৃষকদের চাষাবাদের উপায় হলো গভীর নলকুপের আওতাধীন জমিগুলোতে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি সংকট পূরণ করা।