ব্রিজ ভেঙে ট্রাক নালায়
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকায় ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে পঁচানালার ব্রিজ ভেঙ্গে দশ চাকা বিশিষ্ট বালু বোঝাই একটি ট্রাক নালায় পড়ে গেছে। শুক্রবার ভোরে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে সৈয়দপুর শহরে প্রবেশের বিকল্প ওই সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ঘটনার দিন ভোর রাতে দশ চাকার একটি বালু বোঝাই ট্রাক ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ওই ব্রিজটি অতিক্রম করছিল। এ সময় বালু বোঝাই ট্রাকটি ব্রিজ ভেঙে নালায় পড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ গিয়ে ট্রাক চালক মো. রবিউল ইসলাম (৫০) থানায় নিয়ে আসে। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা বাগান এলাকায়। ট্রাক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি পঞ্চপড়ের ভজনপুর থেকে ট্রাকে বালু বোঝাই করে চুয়াডাঙ্গায় যাচ্ছিলেন। মূল সড়ক হয়ে না গিয়ে তিনি বিকল্প সড়ক দিয়ে সৈয়দপুর শহর হয়ে যাচ্ছিলেন। আর ওই সড়কের ব্রীজটি যে এতো জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল সেটি আমার জানা ছিল না। তিনি জানান, ভোরে ট্রাক নিয়ে ব্রীজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বালু বোঝাই ট্রাকসহ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। তবে তিনি ও তার সহকারী (হেলপার) কেউ আহত হননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরের পূর্ব দিকে পঁচানালার ওপর ওই ব্রীজটি নির্মাণ করে ইষ্ট পকিস্তান ওয়াপদা বিগত ষাটের দশকে। যদিও ওই সংস্থাটির এখন আর কোন অস্তিত্ব নেই। ব্রিজটি দিয়ে সৈয়দপুর উপজেলার ৩ নম্বর বাঙ্গালীপুর ইউপি’র মানুষ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার বদরগঞ্চ, তারাগঞ্জ ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মানুষ ও যানবাহন বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে প্রবেশ করে থাকে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আবার ব্রীজটি পূর্ণর্নিমাণের বিষয়ে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ও সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে পত্র দেন।
তৎকালীন সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলী (বর্তমানে দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় কর্মরত) মো. জাকিউর রহমান জানান, ব্রীজটির অবস্থান সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকায়। তাই সেটি পুনর্নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা তাদের (এলজিইডি) এখতিয়ারভুক্ত নয় মর্মে চিঠি দিয়ে পৌরসভাকে জানিয়ে দেওয়া হয় সে সময়। পরবর্তীতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আবার সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলীকে ব্রীজটির বিষয়ে অবহিত করে পত্র দেন।