পশ্চিমবঙ্গে অলঙ্কারের দোকানে ফিল্মি কায়দায় ডাকাতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভিডিও দেখে মনে হতে পারে, হিন্দি সিনেমার কোনো দৃশ্য। কারো পায়ে চপ্পল, কারো পায়ে হাওয়াই চটি, পিঠে ব্যাগ। আর পাঁচটা সাধারণ ক্রেতার মতোই অলংকারের দোকানে ঢুকল আটজন। কিন্তু দোকানে ঢুকে রণমূর্তি ধারণ করল তারা। প্রত্যেকের হাতে দেখা গেল চাপাতি বা ধারালো অস্ত্র, একজনের হাতে আবার পিস্তল। এনটিভি
ফিল্মি কায়দায় দুর্র্ধষ ওই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এক অলংকারের দোকানে। গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতার সোদপুর এলাকায় অলংকারের দোকানে এই ডাকাতির ঘটনা সেখানকার সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোদপুর এলাকার সেনকো অলংকারি অ্যান্ড কোং নামে অলংকারের দোকানে ডাকাতরা লুটপাট চালায়। আটজনের ডাকাতদল টানা সাত মিনিট ওই অলংকারের দোকানে ডাকাতি করে। পিঠের ব্যাগ থেকে পিস্তল, চাপাতি বের করে তারা। ডাকাতদলের এই মূর্তি দেখে ভয়ে সিটিয়ে যান দোকানের কয়েক কর্মী। ডাকাতদের বাধা দিতে এসে দোকানের কয়েক কর্মী মারধরের শিকার হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একপ্রকার বিনা বাধায় দোকানের বহুমূল্যের সব সোনা, হীরার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল। ডাকাতি শেষে স্থানীয় এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিও ছোড়ে ডাকাতরা।
ডাকাতির ঘটনায় সোদপুর এলাকাবাসী রীতিমতো আতঙ্কিত। ডাকাতির পরই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় খড়দহ থানায়। খড়দহ থানা থেকেও সেখানে পুলিশ বাহিনী যায়। থানার নাকের ডগায় এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বেলঘরিয়া ডিভিশন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীরা মুখ খুলেই দোকানে ঢুকেছিল। কয়েক লাখ রুপির অলংকার নিয়ে ডাকাত দলটি পালিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ, দোকানের কর্মচারী ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে ডাকাতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ডাকাতির শিকার অলংকারের দোকানের মালিক সূর্যকান্ত দাস বলেন, দোকানে ঢুকেই প্রথমে সিসিটিভির ক্যামেরা ভেঙে দেয় ডাকাতদল। কিন্তু লুকানো দুটি সিসিটিভির উপস্থিতি তারা বুঝতে পারেনি। সেখানেই ধরা পড়েছে ডাকাতির দৃশ্য।