সুইস নাগরিকত্বের সুযোগ হারালেন দুই মুসলিম বালিকা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুইমিং পুলে সাঁতার কাটছেন একজনস্কুলের সহশিক্ষার্থী বালকদের সঙ্গে সাঁতার শিক্ষায় অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় দুই মুসলিম বালিকার নাগরিকত্বের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে সুইজারল্যান্ড। বাসেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, ১২ বছর ও ১৪ বছর বয়সী ওই দুই স্কুল বালিকাকে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব প্রদান করা হচ্ছে না। কারণ হিসেবে বলা হয়, ওই দুই শিক্ষার্থী স্কুলের পাঠ্যক্রম মেনে চলছে না।
ইউএসএ টুডের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাঁতার শিক্ষা নিতে ওই স্কুলে বালক ও বালিকারা একসঙ্গে সুইমিং পুলে নামে। কিন্তু ইসলাম ধর্মে নারী-পুরুষের এ ধরনের মিথষ্ক্রিয়া নিষিদ্ধ উল্লেখ করে একসঙ্গে সাঁতার শিখতে অস্বীকৃতি জানায় দুই মুসলিম বালিকা। এরইমধ্যে সুইস পাসপোর্টের জন্য তাদের করা আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এদিকে নিজের মেয়েদেরকে স্কুলের সহশিক্ষার্থী বালকদের সঙ্গে সাঁতার শিখতে দিতে রাজি না হওয়ায় অন্য দুই বালিকার বাবাকে ৪ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানা করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা আলসতাইতেনের একটি আদালতে তাকে জরিমানা করা হয়। স্থানীয়দের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়. ওই বাবার সঙ্গে আগেও স্কুল কর্তৃপক্ষের বাকবিত-া হয়েছিল। মেয়েদেরকে স্কুলে হিজাব পড়তে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। পরে অবশ্য হাইকোর্ট তার বড় মেয়েকে হিজাব পড়ার অনুমতি দেয়। এর আগে ইসলামের বিধানকে কারণ দেখিয়ে নারী শিক্ষকের সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি না হওয়ায় ওই দুই সিরীয় কিশোরকে নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া স্থগিত করে সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।