উত্তরপত্র গায়েব বিহারের সেই আলোচিত ছাত্রীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের বিহারে ক্লাস টুয়েলভ এ কলা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে সকলকে চমকে দিয়েছিল রুবি রাই। পরে এক ইন্টারভিউতে রুবি জানিয়েছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সে রান্না-বান্না নিয়ে পড়েছে। এমন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। ফের পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর সেই পরীক্ষায় সরাসরি ফেল। এরপরই তাকে নেওয়া হয় পুলিশ হেফাজতে। শুরু হয় তদন্ত। এখন শোনা যা্ছ,ে রুবির সেই উত্তরপত্রই গায়েব হয়ে গেছে। গত দু’দিন ধরে খুঁজেও বিষুণ রায় কলেজের ওই ছাত্রীর উত্তরপত্রের কোনও হদিশ পায়নি পটনা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। আসলে উত্তরপত্রের ফরেনসিক পরীক্ষা করাতে চাইছিলেন তারা। সে কারণেই দরকার ছিল ওই উত্তরপত্রগুলির। এর ফলে তদন্তের মোড় ঘুরেও যেতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। নতুন করে কয়েক জনকে গ্রেফতার করার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। তবে এরই মধ্যে পরীক্ষা কেলেঙ্কারির বেশ কয়েকটি নতুন বিষয়ের খোঁজ পেয়েছে সিট। বাংলাসমাচার
পটনা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা মনে করছেন, প্রমাণ লোপাটের জন্যই রুবি রায়ের উত্তরপত্র সরানো হয়েছে। তাদের দাবি, বিষুণ রায় কলেজের অধ্যক্ষ বাচ্চাপ্রসাদের সঙ্গে বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান লালকেশ্বরের চুক্তি হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায় উপর থেকে নীচ পর্যন্ত, সমস্ত স্তরের এক শ্রেণির কর্মী যুক্ত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই কর্মীদের সাহায্যেই উত্তরপত্র সরিয়ে ফেলার সম্ভবনা রয়েছে। তদন্তকারীরা উত্তরপত্রের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের গ্রেফতার করে জেরা করতে চাইছেন। তদন্তে জানা গেছে, শিক্ষা দফতরের বৈশালী জেলা অফিসে বাচ্চাবাবুর যথেষ্ঠ প্রভাব ছিল।
বাচ্চাবাবুর অফিস থেকে বৈশালীর আরএম কলেজের শিলমোহর মারা দু’ডজনের বেশি ফাঁকা উত্তরপত্র পাওয়া ড়েঝে। আরএম কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা পরিদর্শককে জেরা করবেন গোয়েন্দারা। কী ভাবে বোর্ডের শিলমোহর দেওয়া ওই ফাঁকা উত্তরপত্র বাচ্চাবাবুর কাছে গেল তা জানতে চাইবেন তারা।