ভারতের বিমানবাহিনীতে ঢুকল নিজস্ব বিমান তেজস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় তিন দশক পর শুক্রবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর বহরের অন্তর্ভুক্ত হল তেজস। পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দু’টি তেজস যুদ্ধবিমান সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে হিন্দুস্তান অ্যারোনোটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)। ২০১৮ সালের মধ্যে ৪টি ট্রেনার সহ মোট ১৮টি তেজস পাবে বিমান বাহিনী। পাশাপাশি মিগ বিমানগুলিকেও বাতিলের কাজ শুরু হবে। এদিন বেঙ্গালুরুর বিমানঘাঁটিতে তেজসের উড়ানের আগে ঘটা করে পুজোও করা হয়। আগামী দু’বছর এই বিমানঘাঁটিতেই থাকবে বিমান দু’টি। এরপর তেজস বিমানের ঘাঁটি সরিয়ে নেওয়া হবে তামিলনাড়ুর সুল্লুরে। এই যুদ্ধবিমানের জন্য ‘ফ্লাইয়িং ড্যাগারস’ নামে একটি স্কোয়াড্রনও তৈরি করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর বলেছেন, তেজস বিমান বাহিনীতে যুক্ত হওয়ায় দেশের সেনাবাহিনীর শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে গেল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের অন্যতম কারিগর ছিল রাশিয়া থেকে আনা মিগ-২১ বিমান। কিন্তু মিগের পরিবর্ত হিসেবে ভারতেই লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। এরপর প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী তার নাম দেন তেজস। কিন্তু প্রতিনিয়ত বিশ্বের যুদ্ধবিমানগুলি আরও আধুনিক হতে থাকে। সেই সঙ্গে পাল্টাতে থাকে তেজসের নকশাও। ২০০১ সাল থেকে একাধিক সফল পরীক্ষামূলক উড়ানের পর অবশেষে তেজসকে যুক্ত করা হল বিমান বাহিনীতে। মনে করা হচ্ছে, ফরাসি বিমান রাপালের মতোই শক্তিশালী তেজস। ঢের এগিয়ে পাকিস্তান ও চিনের যৌথ উদ্যেগে তৈরি জে এফ-১৭ বিমান থেকে।
তেজসে আধুনিক বিমানগুলির সমস্ত সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি, উন্নত মানের রাডারও রয়েছে। গতিবেগও খুব বেশি। মাঝ-আকাশে জ্বালানি ভরতেও সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। তেজস খুব শিগগিরই গোটা বিশ্বের লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্টগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা বিমান হতে চলেছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।