২০১৬ সালে মানবপাচারের শিকার ২ কোটি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি বছরে সারাবিশ্বে প্রায় ২ কোটি মানুষ মানবপাচার ও দাসপ্রথার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মানবপাচার প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এ কথা বলেন তিনি। রয়টার্স
মানবপাচারের শিকারদের নিরাপত্তা আইন (ট্রাফিকিং ভিক্টিমস প্রটেকশন অ্যাক্ট টিভিপিএ)-এর আওতায় টিআইপি প্রতিবেদনটি আধুনিক দাসপ্রথার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সরকারসমূহের লড়াইয়ের প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করে। মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার নির্মূলে ন্যূনতম মান পুরোপুরি অর্জন করেনি, এবারের টিআইপি প্রতিবেদনে দেশটি তাই দ্বিতীয় স্তরে মূল্যায়িত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে দেশটির জন্য পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১২ সালের “মানবপাচার রোধ ও দমন আইন” বাস্তবায়নের জন্য নীতিমালা চূড়ান্তকরণ ও গ্রহণ এবং তা ব্যবহারে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জোরপূর্বক কাজে বাধ্য করতে এবং যৌনকাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পুরুষ, নারী ও শিশু পাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মূলত একটি উৎস দেশ এবং কখনো কখনো ট্রান্সিট এবং গন্তব্য দেশ। মানবপাচার মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাসমূহকে যুক্তরাষ্ট্র জোরালোভাবে সমর্থন করে এবং যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) ‘বাংলাদেশ কাউন্টার ট্রাফিকিং ইন পার্সন’ কর্মসূচির মাধ্যমে এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও জানানো হয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ