বাবুলের পদত্যাগপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে!
বিপ্লব বিশ্বাস : এসপি বাবুলের পদত্যাগপত্র বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে। পুলিশের কোনো কর্তাব্যক্তি পদত্যাগের এ বিষয়টি স্বীকার না করলেও পুলিশেরই একটি সূত্র এমন দাবি করেছে। সূত্রটি বলছে, ঈদের পরেই তা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। গত কয়েকদিনে দফায় দফায় বৈঠকের পর এসপি বাবুলের স্বাক্ষরকৃত পদত্যাগপত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করলেও তাতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়নি। এর আগে পুলিশ সদর দফতরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বৈঠক করেন।
সূত্রগুলো আরও জানায়, পদত্যাগপত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাক্ষর করলে তা প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যাবে। এরপর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করার পর তা কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন রোববার মধ্যরাতে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা দফতরে নেয়া হয়। সেখানে তিনজন ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা তাকে মিতু হত্যায় তার জড়িত থাকার বিষয়ে তাদের কাছে প্রমাণ থাকার কথা জানান। এসময় ডিআইজিরা বাবুল আক্তারকে বলেন, স্ত্রী হত্যায় তার জড়িত থাকার বিষয়ে তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে। এরপর তাকে পুলিশ বাহিনী থেকে সরে যেতে বলা হয় অন্যাথায় জেলে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এসময় বাবুল আক্তার পুলিশ বাহিনী ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা জানিয়ে তার পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর তাকে পুলিশের ডিসির গাড়িতে করে খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।
এদিকে এসপি বাবুলের পদোন্নতি ও বদলি হওয়ার পরপরই তড়িঘড়ি করে তার কর্মস্থল ত্যাগ করা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। এ ব্যাপারে জানা যায়, বাবুল জানতো কখন, কোন সময়ে, মিতুকে হত্যা করা হচ্ছে। তাই সে যদি চট্টগ্রামে উপস্থিত থাকে তাহলে তার পরিকল্পনা সম্পন্ন হবে না। তাছাড়া ইতোমধ্যে হয়তো সোর্সরা জেনে যেতে পারে মিতু আসলে পুলিশ সুপার বাবুলের স্ত্রী। এসব বিষয় মাথায় রেখেই তিনি চট্টগ্রাম থেকে তড়িঘড়ি ঢাকায় চলে আসেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম