বাবুলকে রক্ষায় তৎপর পুলিশের সিন্ডিকেট
আজাদ হোসেন সুমন : চাঞ্চল্যকর মিত্যু হত্যামামলার সন্দেহভাজন এসপি বাবুল আক্তারকে পুলিশের একটি অংশ যেমন চাইছে না তিনি পুলিশে থাকুক, তেমনি অপর একটি অংশ আবার বাবুলকে রক্ষার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। বাবুলের পক্ষের এই সিন্ডিকেটটি চেষ্টা করছে বাবুলকে যাতে জেলে যেতে না হয়। অবশ্য এই সিন্ডিকেট বাবুলের চাকরি রক্ষার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু পুলিশের নীতিনির্ধারক মহলের অনড় অবস্থানের কারণে বাবুল পদত্যাগ পত্রে সই করার মধ্য দিয়ে ভেস্তে গেছে সিন্ডিকেটের মিশন।
সূত্র জানায়, গত ১১ বছরের পেশাগত জীবনে বাবুল আক্তারের সঙ্গে পুলিশবাহিনীর যেসব সদস্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের মধ্যে অর্ধ শত কর্মকর্তা রয়েছে যারা এসপি ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তা। এদের মধ্যে আবার কমপক্ষে ২৫ জনের সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা; তার সুখ-দুখের সাথী এরা।
সূত্রমতে, বাবুলের ঘনিষ্টজনদের সিন্ডিকেট সরকারের পদস্থ মহলে জোর লবিং চালাচ্ছে। তারা ঠিক প্রধানমন্ত্রীকে না হলেও প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্টজনদের কাছে বাবুলের চাকরি জীবনের নানা ইতিবাচক দিক তুলে ধরছেন।
সূত্রমতে, এই সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্যের সঙ্গে গত ৬ জুন সকালে পুলিশ সদর দফতরে বাবুলের বৈঠক হয়েছে। এদিন বাবুল পুলিশ সদর দফতরে যোগদান করতে যায়। শনিবার সরকারি ছুটির দিন হলেও পুলিশ সদর দফতরে একাধিক কর্মকর্তা অফিস করছিলেন। বাবুল সেখানে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময় কাটান।
এ ব্যাপারে পুলিশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, আসলে পুলিশবাহিনীতে কোনো ব্যক্তিই সর্বজন নিন্দিত নয়। বাবুলও এর বাইরে নন। তার পক্ষে যেমন লোক আছে, তেমনি তাকে পছন্দ করেন না বা বিপক্ষের লোক থাকতেই পারে। কারা তাকে অপছন্দ করে বা কারা তার পক্ষে লবিং করছে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান এই কর্মকর্তা।
পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, বাবুলের সিন্ডিকেট ইতোমধ্যে বাবুলের চাকরি রক্ষার্থে ব্যর্থ হয়েছে। এরা বাবুলকে শেষ রক্ষা করতে পারবে না বলে সূত্রটি জোর দাবি করে বলেছে- এটা রাম রাজত্ব নয়। বাবুলের চেয়ে বড় বড় রাঘব বোয়ালও অপরাধ করে ধরাশায়ী হয়েছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি