অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল স্থগিত, পুনঃনির্বাচনের রায় আদালতের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। শুক্রবার আদালত এ রায় ঘোষণা করে। দ্য গার্ডিয়ান
অস্ট্রিয়ার সাংবিধানিক আদালতের প্রধান গেরহার্ড হলজিংগার ফল স্থগিতের রায় ঘোষণার পর বলেন, ২২ মের নির্বাচন চ্যালেঞ্জ করে ফ্রিডম পার্টির নেতা হেইঞ্জ ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাচে যে আবেদন করেছেন, আদালত তার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
দুই সপ্তাহের শুনানিতে ফ্রিডম পার্টির আইনজীবী আদালতকে জানান, ডাকযোগে ভোট গ্রহণ হয় ১১৭টি জেলায়, যার মধ্যে ৯৪টিতেই কারচুপি হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনি আইনের বাইরে গিয়ে কয়েক হাজার ভোট অনিয়মের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ভোট গণনায় অংশ নেন অননুমোদিত লোকজন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে হেরে যায় কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দল ফ্রিডম পার্টি। নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে দলটি আদালতে চ্যালেঞ্জ করে। তাদের দাবি, ডাকযোগে গৃহীত ভোটে কারচুরি করা হয়েছে এবং ষড়যন্ত্র করে তাদের হারানো হয়েছে।
ফ্রিডম পার্টির প্রার্থী নরবার্ট হফার তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গ্রিন পার্টির সাবেক নেতা আলেকজান্ডার ভ্যান ডার বেলেনের কাছে ১ শতাংশেরও কম ভোটে হেরে যান।
ফ্রিডম পার্টি আদালতে প্রমাণ দেখিয়েছে, অনূর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সীরা এবং বিদেশিরাও অবৈধভাবে ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন। বিষয়টি আমলে নিয়েছেন সাংবিধানিক আদালত।
পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নরবার্ট হফার যদি নির্বাচনে বিজয়ী হন, তাহলে তিনিই হবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে প্রথম কট্টরপন্থি রাষ্ট্রপ্রধান। সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে নতুন করে নির্বাচন হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে যে ডানপন্থি জাতীয়তাবাদে উদয় হচ্ছে তার উদাহরণ নরবার্ট হফার। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী বলে পরিচিত। তিনি মনে করেন, অস্ট্রিয়ানরা চাইলে ইইউ ত্যাগ করার বিষয়ে গণভোট আয়োজনের ব্যবস্থা করবেন তিনি। কিন্তু ভ্যান ডার বেলেন হফারের বিপরীত অবস্থান নিয়েছেন। তিনি অখন্ড ইউরোপে বিশ্বাসী। নির্বাচনি প্রচারে তিনি বলেন, তিনি ইউনাইটেড স্টেটস অব ইউরোপের স্বপ্ন দেখেন।