ইস্তাম্বুল হামলায় আইএসের সংশ্লিষ্টতার শক্ত প্রমাণ রয়েছে : তুরস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইস্তাম্বুলে আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলার পর থেকেই এর সঙ্গে আইএসের সংশ্লিষ্টতার আশঙ্কা জানিয়ে আসছিল তুর্কি কর্তৃপক্ষ। এবার তারা দাবি করেছে, ওই হামলায় আইএসের সংশ্লিষ্টতার শক্ত প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। যদিও এখনও আইএস কিংবা অন্য কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। সিএনএন, বিবিসি
মঙ্গলবার বিকালে তিন বন্দুকধারী আতাতুর্ক বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে কালাশনিকভ রাইফেল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। পুলিশের পাল্টা গুলির মুখে হামলাকারীরা আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেদের উড়িয়ে দেয়। দুই হামলাকারী বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। আর পার্কিং এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটান অপর হামলাকারী। এ ঘটনায় ৪২ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বুধবার একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন। এদিন দেশটির জাতীয় পতাকাগুলো অর্ধনমিত অবস্থায় রাখা হয়। এছাড়া নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন অব্যাহত রয়েছে।
তুরস্কের দাবি, মঙ্গলবারের সেই হামলার ঘটনায় অংশ নেওয়া তিন ব্যক্তি রাশিয়া, উজবেকিস্তান ও কিরগিজস্তানের নাগরিক। একমাস আগে আইএস-অধ্যুষিত সিরিয়ার রাকা শহর থেকে তারা ইস্তাম্বুলে আসে। তারা সেখান থেকে আত্মঘাতী বেল্ট ও বোমা সঙ্গে নিয়ে আসে। সেই বেল্ট আর বোমাই হামলায় ব্যবহার করা হয়।
নিজস্ব বিশ্বস্ত সূত্রকে উদ্ধৃত করে সিএনএন বলছে, ‘আইএস নেতৃত্বের সংশ্লিষ্টতায় সংঘটিত হামলাটি ছিল খুবই পরিকল্পিত’।
বেনামি তদন্ত সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন-এর খবরে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুুলের ফাতিহ জেলায় একটি বাসা ভাড়া নিয়েছিল ওই সন্ত্রাসীরা। সেই এলাকায় অভিযান চালিয়েছে তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় মানুষদের ওই তিন সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে তাদের সম্পর্কে জানতেও চাওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা তাদের সেখানকার বাসিন্দা হিসেবে চিনতে পেরেছেন। এর আগে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের দিকে সন্দেহের আঙুল তুলেছিলেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক জন ব্রেনানেরও দাবি, আইএসের স্টাইলে হামলাটি হয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ