গ্রেফতার হতে পারেন বাবুলে শ্বশুরও
আজাদ হোসেন সুমন : হত্যাকা-ের পর থেকেই মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বাবুলের পক্ষে সাফাই গাইছেন। ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এরপর তাকে গ্রেফতারও করা হতে পারে বলে পুলিশে তদন্তকারী সংশ্লিষ্ট সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে। কোনোদিন তাকে তদন্ত কর্মকর্তাদের মুখোমুখি করা হতে পারে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।
জানা গেছে, হত্যাকা- তদন্তে থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। তাতে প্রমাণিত বাবুল ধোয়া তুলসী পাতা নয়। তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ তার মত চৌকস কর্মকর্তাকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ১৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তা নাহলে তদন্তকারীরা বাবুলের বাসায় গিয়ে স্ব-সম্মানে কথা বলত। সাধারণত তদন্তকারী কর্মকর্তারা ভিকটিমের প্রতি সহানুভূশীল আচরণ করে থাকেন। বাবুল আক্তার একজন ভিকটিম এবং পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা। সঙ্গত কারণেই অভাবনীয়, অনাকাঙ্খিত কিছু না ঘটলে বাবুল আক্তারকে তুলে নিয়ে ১৫ ঘন্টা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখত না। শুধু তাই নয়, ওই রাতে তদন্তকারীরা বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বলেছেন, ‘বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্মিত হয়েছি। তাকে হয় পুলিশবাহিনী ছাড়তে হবে না হয় জেলে যেতে হবে। এ শর্ত দেওয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, এত কিছুর পরও মিতুর বাবা মোশাররফ জামাতা বাবুলের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। গতকাল তিনি পাল্টা হুমকি দিয়েছেন, তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হলে তিনি মুখ খুলবেন। মুখ খুললে পুলিশবাহিনীর পদস্থ অনেকের এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন।
পুলিশের একটি সূত্র গতকাল বলেছেন, মোশাররফ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। বাবুলের ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত অর্থাৎ গ্রেফতার হলে মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করার বিষয়টিও তদন্তকারীদের মাথায় রয়েছে বলে সূত্রটি দাবি করেছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি