ঈদে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতেই সরকারের ক্যাডারদের চাঁদাবাজি : রিজভী
কিরণ সেখ : ঈদের আগে আতঙ্ক আরও বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে দিতে ক্ষমতাসীনদের ক্যাডাররা দেশব্যাপী সীমাহীন চাঁদাবাজি শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে আজ ব্যাপক গ্রেফতার, আটক অবস্থায় অমানুষিক নির্যাতন ও নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করে টাকা আদায়ের কারণে দেশ মৃত্যুদ-ের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যার ফলে পুলিশের হয়রানি ও প্রশাসনের রোষের শিকার হওয়া মানুষের ভাগ্যটীকা হয়ে গেছে।
এসময় তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি। রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়। অথচ ঈদুর ফিতরের আগে অস্ত্রসহ আটক চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা রনীকে গ্রেফতারের পর তাকে গত বৃহস্পতিবার মুক্তির পর মালা দিয়ে বরণ করা হয়েছে। এতেই সুস্পষ্ট হয় যে, ক্ষমতাসীনদের জন্য এক আইন আর বিরোধী দলের জন্য আরেক আইন। ঈদের আগে অফিস, আদালত, দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বত্রই আওয়ামী ক্যাডারদের অব্যাহত চাঁদাবাজিতে দেশবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা রক্তপিপাসু জীব হয়েই রাষ্ট্রযন্ত্রের ড্রাইভিং সিটে বসে আছে। আর তাই জনমত, জবাবদিহিতা, দায়বদ্ধতার পরিভাষাগুলো ভোটারবিহীন শাসকগোষ্ঠী এ্যাম্বুলেন্সে করে গোরস্থানে সমাহিত করেছে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন ও ভাবনা হচ্ছে- গণতন্ত্র, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা। সেই জন্যই শেখ হাসিনা জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে অবজ্ঞা করে পলপট, হিটলার, ফ্যাসিস্টদের মতো পৃথিবীর রক্তপিপাসু একনায়কদের সর্বনাশা পথ অনুসরণ করছেন। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে গলা ফাটিয়ে বিষোদগার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব পাবেন বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর দেশে বিদেশে বর্তমান সরকারের কোনো সমর্থন নেই বলে দাবি করেন তিনি। বিএনপির এ নেতা বলেন, ভারত ও আনন্দবাজার পত্রিকা ছাড়া বর্হিবিশ্বের কোনো দেশ বর্তমান সরকারকে সমর্থন দেয়নি। সেইজন্য ক্ষমতা জোর করে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সমর্থন পাওয়ার জন্য ভারতের কাছে দেশকে ক্রমান্বয়ে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে দিতে একের পর এক পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে দুঃশাসনের রথচক্র অব্যাহত গতিতে চালানোর জন্য একমাত্র ভারতের সাথে ‘প্যাকেজ প্রোগ্রাম’ হচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারের টিকে থাকার নিশ্চয়তা বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম