১৫ পুলিশসহ আহত ২৫
আজাদ হোসেন সুমন, সুজন কৈরী ও মাসুদ আলম
বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত পৌনে ৯টায় রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের একটি রেস্তোরাঁয় এই জঙ্গি হামলা চালানো হয়। ভয়াবহ এই হামলায় বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিনসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ বাহিনীর কমপক্ষে ১৫ সদস্যসহ আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ জন। আহতদের ঢাকা গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
রাত ১১টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জঙ্গিরা ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ কমপক্ষে ২৫ ব্যক্তিকে জিম্মি করে রেখেছে। পুলিশ তাদের কাছে ঘেঁষতে গেলেই তারা গ্রেনেড চার্জ করছে।
বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দারা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অভিযানের পরিকল্পনা করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জঙ্গিরা ভেতর থেকে কোনো দাবি-দাওয়া বা হামলার কারণ জানায়নি।
সূত্র জানায়, রাত পৌনে ৯টার সময় ৮/৯ জনের সশস্ত্র একটি দল ‘আল্লাহ আকবার’ সেøাগান দিয়ে গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কের ওকে কিচেন নামে দিয়ে রেস্তোরাঁয় ঢুকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়। রেস্তোরাঁয় অবস্থানরতরা আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে। কেউ টেবিলে নিচে, কেউবা ছাদে। ছাদ টপকে অন্য ভবনে যাওয়ার সময় হোটেলে কর্মচারী সুমনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সংবাদ পেয়ে গুলশান ও বনানী থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্র ভেতর থেকে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে পুলিশ বাহিনীর ৩ সদস্যসহ ৫ জন আহত হন। এ সংবাদ পেয়ে র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা হোটেলের পাশে অবস্থান করে পুলিশের অন্য সদস্যদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। এ সময় হোটেলের ভেতর থেকে একের পর এক গুলিবর্ষণ ও গ্রেনেড চার্জ করে। এ সময় পুলিশবাহিনীর কমপক্ষে ১০ সদস্য আহত হন। ঘটনার ভয়াবহতায় আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।