এই ঘটনা ভয়াবহ ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত করছে
হায়দার আকবর খান রনো, রাজনীতিক
একটা দুঃসময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি আমরা। কিছুদিন ধরে যেভাবে মানুষ হত্যায় সন্ত্রাসীরা তৎপরতা দেখাচ্ছে তা আমাদের প্রচ- চিন্তিত করছে। চিন্তা করতে আমাদের বাধ্য করছে। জঙ্গিদের হাত থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে কত আশ্বাস পেলাম, কোথায় সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন? পরশু রাতে গুলশানে রেস্টুরেন্টে যে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হলো, নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে হত্যা করা হলো তা দেশে এই প্রথম। এই ঘটনা ভয়াবহ ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত করছে। তাদের ক্রমাগত হামলায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে।
মানুষকে জিম্মি করে সন্ত্রাসী হামলায় আমাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই হামলা কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগই নেই। এই হামলা নিয়ে কোনোভাবেই যেন রাজনীতি করা না হয়। কারণ আমরা দেখেছি এর আগের ঘটনাগুলোর পর সরকার বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর, দোষারোপ করে বক্তব্য রাখতে। এসবকে বাদ দিতে হবে যদি একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র আমরা বিনির্মাণ করতে চাই।
রাজনীতি নয়, ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। সরকারকেও এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোতে হবে। সচেতন, সতর্ক হতে হবে। সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে। জনগণকেও এ বিষয়ে সচেতনা বৃদ্ধি জরুরি। কারণ জনগণ সচেতন হলে কোনো অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দেশের এই পরিস্থিতিতে একটি জাতীয় ঐক্য জরুরি। জাতীয় ঐক্য অবশ্যই হতে হবে। ঐক্য ছাড়া এই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা যাবে না।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : আশিক রহমান