রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়াস চালাতে হবে
মে. জে. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (অব.), রাজনীতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় একটি রেস্টুরেন্ট যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা সংঘটিত হয়েছে তা আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, আশঙ্কা ছিল দেশি-বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা পক্ষ থেকে। সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পূর্ণাঙ্গভাবে না হলেও আংশিকভাবে প্রস্তুত ছিল। তবে তারা পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতিতে যেতে পারত। সেটা আর হয়নি। যারা নির্মম এ ঘটনায় নিহত হয়েছে, আহতদের প্রতি সমবেদনা।
তারপরও ঘটনার সফল সমাপ্তি টানতে পেরেছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, এটা তাদের সফলতা। তাদের অভিনন্দন।
দেশে জঙ্গি তৎপরতা কোনোভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। এই জঙ্গি তৎপরতায় ধর্মীয় আবহ দেওয়ার চেষ্টা থাকে, সেটা করতে দেওয়া যাবে না। জঙ্গি তৎপরতা ধর্মীয় ছদ্মবেশে ঘটতে দেওয়া যাবে না। পরিস্থিতি দাবি মেটাতে, রাজনৈতিক ঐক্যেও বিকল্প নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা বৃহৎ ঐক্য জরুরি। রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়াস চালাতে হবে।
মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রুল পালন করতে হবে এখানে। জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে জনগণকে সচেতনার কাজটি তাদেরকে করতে হবে বেশি করে। রাজনৈতিক দলগুলোকেও এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিকভাবেও জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে হবে। কারণ একটি কোনো দলীয় ইস্যু নয়, জাতীয়। এ ঘটনার পর সকলের চোখ খুলে যাওয়া উচিত। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছেÑ জঙ্গি হামলার কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক হেড লাইন হলোÑ একটি অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে। এটা আমাদের কাক্সিক্ষত ছিল না।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : আশিক রহমান