আরও বেশি সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে
মে. জে. মোহাম্মদ আলী সিকদার (অব.), নিরাপত্তা বিশ্লেষক
গুলশানের এক রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার মাধ্যমে দেশে নতুন করে উদ্বেগের আবির্ভাব ঘটল। এ ধরনের হামলা এর আগেও বিভিন্ন দেশে হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে প্রথম। সুতরাং, জঙ্গিরা নতুন কৌশলে ও নতুনভাবে হামলা শুরু করেছে।
এই পর্যন্ত ২৭ জন নিহতের খবর এসেছে। জঙ্গিরা জেনেশুনেই এই হামলা করতে এসেছে। তারা জানে যে, হামলা করে জীবিত অবস্থায় এখান থেকে ফিরে যেতে পারবে না। এটা এক ধরনের আত্মঘাতী হামলা হলেও, হামলার ধরন ছিল অন্যরকম। জঙ্গিরা একধরনের পণ করেই এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। যদি তারা ইচ্ছা করত ২-৫ মিনিটে এলোপাতাড়ি গুলি করে কিছু মানুষ হত্যা করে পালিয়ে যাবে, তাহলে তারা পুলিশ আসার আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যেত। কিন্তু তারা সেটা না করে পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে এবং নিজেরাও নিহত হয়েছে।
হামলা শুরুর প্রথম থেকেই পুলিশ দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পেরেছে। তাদের সাহসী মনোভাব নিয়ে তারা জঙ্গিদের হাত থেকে নিরীহ মানুষদের বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এতে একদিকে যেমন তাদের সাহসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। তবে তাদের কৌশলের সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতারও অভাব রয়েছে।
জঙ্গিদের এই ধরনের হামলা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে আরও বেশি তিক্ষè ও বুদ্ধিসম্পন্ন হতে হবে। দেশের মানুষকে আরও বেশি সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম