চট্টগ্রামের স্পর্শকাতর স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার
মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম : রাজধানীর গুলশানে আর্টিজেন বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর চট্টগ্রাম নগর জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কমিশনার ইকবাল বাহার।
কমিশনারের নির্দেশে নগরীর ৭টি প্রবেশ পথে চেক পোষ্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। এছাড়া আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর, রেলস্টেশন, চট্টগ্রাম রপ্তানী প্রক্রিয়াকরন অঞ্চল (ইপিজেড), আবাসিক হোটেল, কূটনৈতিক অফিস, মার্কেট-শপিংমল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি প্রায় সকল স্পর্শকাতর স্থাপনায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী। এদিকে শুক্রবার রাতে গুলশানের রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর থেকে পুরো চট্টগ্রাম নগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে মাঠে নেমেছে পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। রাতেই গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও কূটনৈতিক অফিসগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, চট্টগ্রাম নগরীর স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে সবচাইতে বেশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নগরীর ৭টি প্রবেশ পথে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সিএমপি সূত্রে জানা গেছ, রমজান উপলক্ষে মার্কেট-শপিংমল ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৮শ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শুক্রবারের ঘটনার পর রাতেই আরও ৮শ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাড়ানো হয়েছে পুলিশ ও র্যাবের টহল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজেন বেকারিতে সন্ত্রাসী যুবক অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে ঢুকে বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে। সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবকে নিয়ে যৌথভাবে ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ট’ পরিচালনা করা হয়।