কে এই খালেদ সাইফুল্লাহ?
এম কবির : মাদারীপুর থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর জঙ্গি খালেদ সাইফুল্লাহকে (২০) গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মাতুয়াইলের বাদশা মিয়া রোড থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি মাদারীপুরের কলেজশিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। এরপর জঙ্গিরা খালেদ সাইফুল্লাহর মুক্তি চায়? কে এই সাইফুল্লাহ এমন প্রশ্ন সবার।
মাদারীপুরের কাজী বেলায়েতের তিন ছেলের মধ্যে খালেদ সাইফুল্লাহ বড়। তিনি শিবচরের জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। গত বছর ফরিদপুরের মার্কাজ মাদ্রাসায় ভর্তি হন। রমজান মাস শুরু হলে তিনি কালকিনি উপজেলার গোপালপুর বড় মসজিদে তারাবি নামাজের ইমামতির দায়িত্ব নেন।
খালেদের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের বলসা গ্রামে। মাদারীপুর শহরের গোলাবাড়িতে তাদের বাড়ি রয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে গোলাবাড়ির ওই বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
খালেদ সাইফুল্লাহর বাবা ও মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান কাজী বেলায়েত হোসেনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছেন খালেদের মামা।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে খালেদের মামা গোলাম রসুল বলেন, ‘খালেদের বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা কোথায় আছেন জানি না।’
গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে জামিল ওরফে আফিফ কাইফি ওরফে পথভোলা পথিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য।
গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর জঙ্গিরা আত্মসমর্পণের তিনটি শর্ত দেয়। শর্ত তিনটি হলো-
১. একদিন আগে ডেমরা থেকে আটক জেএমবি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহকে মুক্তি দিতে হবে। ২. তাদেরকে নিরাপদে বের হয়ে যেতে দিতে হবে এবং ৩. ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের এই অভিযান- স্বীকৃতি দিতে হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, জঙ্গিরা বার বার রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকে চিৎকার করে তাদের শর্তের কথা জানাতে থাকে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ