রিকু আমির : গুলশানের হলি আর্টিজেন রেস্তরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের কাছে প্রথম তথ্য আসে, সেখানে চাঁদাবাজি করতে সংঘবদ্ধভাবে হানা দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
কিন্তু ডিবির এসি রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন খানসহ পুলিশ দলের উপর বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণের কিছুক্ষণের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত হতে পারে, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী নয়, সেখানে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।
গত শুক্রবার রাতে গুলশান থানা পুলিশ ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
গুলশান থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলামের কাছে প্রথমে খবরটি আসার পর তিনি বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন খানের কাছে সহযোগিতা চান। তাৎক্ষণিক সাড়া দিয়ে সালাহউদ্দিন ফোর্স নিয়ে সেখানে ছুটে যান। তিনি ও এসি রবিউল হামলার শিকার হবার পর তাদের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা আঁচ করতে পারেন, আসলে সেখানে যে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে, তারা খুবই শক্তিশালী।
গুলশান থানার একজন এসআই শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ প্রতিবেদককে বলেন, শুনেছি সেখানে চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এ রাতেই ঘটনাস্থলে র্যাবের একজন পদস্থ কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, ওয়্যারলেস সেটের মাধ্যমে আমার কাছে প্রথম খবর আসে, শক্তিশালী, অস্ত্রধারী একটি সন্ত্রাসী দল চাঁদার জন্য সেই হোটেল এটাক করেছে, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলেছে বিদেশিদের।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোটেলে প্রবেশ করে গুলি চালানো আর্মড পুলিশের একজন সদস্য নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার বন্দুকের নল শুঁকে দেখেন, বারুদের গন্ধ পাওয়া যায়। নলে নাক দিতেই গন্ধ পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, আমাদের স্যারের কাছে প্রথম খবর আসে চাঁদাবাজরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে হামলা চালিয়েছে। এজন্য আমাদের প্রস্তুতিটা খুব ভারি ছিল না। প্রথমে সেখানে আমরা যখন গুলি চালাই, তখন পাল্টা গুলি আসে প্রচুর। অন্ধকারে নিশানা ঠিক করতে পারছিলাম না। এক পর্যায়ে পিছু হটতে বাধ্য হই। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম