বাংলাদেশে ইংল্যান্ডের সফর নিয়ে চিন্তিত বিসিবি
এল আর বাদল : আগামী অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ক্রিকেট সিরিজ আয়োজন নিয়ে ভীষণ চিন্তিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত শুক্রবার গুলশানের ঘটনায় ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর নিয়ে শঙ্কা দেখা দিতে পারে ভেবে বিসিবির কর্মকর্তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। ৩০ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ইংল্যান্ডের। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফর নিয়ে পিছুটান দেবে কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে বোর্ড কর্তাদের কাছে।
বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, গুলশানের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। দেশের সব সেক্টরের জন্যই এটা বড় ধাক্কা। তাহলে কি ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর অনিশ্চয়তার মুখে? এই প্রশ্নের উত্তরে শেখ সোহেল বলেন, আসলে কয়েকটা দল আমাদের এখানে আসতে বরাবরই অজুহাত খুঁজে। গত বছর কোনো কারণ ছাড়াই নিরাপত্তার অজুহাত দাঁড় করিয়ে বাংলাদেশ সফর বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। এমনকি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি তারা। এবার গুলশানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের তো একটু বেকায়দায় ফেলতে পারে। কারণ আগে আমাদের যুক্তি ছিল। আমাদের অবস্থান শক্ত ছিল। কিন্তু এখন আমাদের তো কোনো যুক্তি থাকল না। ইংল্যান্ড এখন এই ইস্যু সামনে আনতেই পারে। তারপরও সোহেল আশা করছেন ইংল্যান্ড যথাসময়ে বাংলাদেশ সফর করবে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন গুলশান কা-ের কারণে ইংল্যান্ড সিরিজের উপর নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না। সুমন বলেন, ‘কী বলব। ব্যক্তিগতভাবে আমি মর্মাহত। এটা দেশের জন্য খুবই খারাপ খবর। দেশ যখন সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এমন ঘটনা খুবই কষ্টের। তবে আমার মনে হয় না এ ঘটনা ইংল্যান্ড সিরিজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারণ বর্তমান বিশ্বে এমন ঘটনা প্রায় সব দেশেই ঘটছে। তারপরও সব কিছু চলছে। সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ব্যাপারটা খুবই অনাকাক্সিক্ষত। এটা দেশের জন্য বিব্রতকর। স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটেও এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তেও পারে। দেখা যাক কী হয়। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম