প্রমাণ হলো আমরাই সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা করতে পারি : আইনমন্ত্রী
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, গুলশানে সৃষ্ট জিম্মি ঘটনা আমরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিরসন করার চেষ্টা করেছি। এই পরিস্থিতিতে সুচিন্তিতভাবে যেটা দরকার সেটাই করা হয়েছে। সরকারকে সব সিদ্ধান্ত অনেক ভেবে চিন্তে নিতে হয়। ঘটনার পর অভিযান পরিচালনা করা হলে কি হতে পারে এই ধরনের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সময় নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েই এই পর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী শনিবার সকালে এই সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনার পর পর আইএস দায় স্বীকার করেছে। এই দায় স্বীকারের বিষয়টাকে আমরা এখনই গুরুত্ব দিচ্ছি না। কারণ যেকোনো ঘটনা ঘটলেই আইএস দায় স্বীকার করবে আর সেটাই আমাদের মানতে হবে এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। যে কেউ এই আইএস পরিচয় দিয়ে দায় স্বীকার করতে পারে। আর এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। এটা হলো বাংলাদেশে আইএসকে প্রতিষ্ঠিত করার একটি ষড়যন্ত্র। দিন যত যাচ্ছে আইএসকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নানা মহল থেকে চেষ্টা চলছে। সেটা আমরা সফল হতে দিব না। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আমরা তাদের বের করব। এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করব।
তিনি বলেন, ঘটনার পর পর সারাদেশের সব স্থাপনায় আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি। বিদেশিদেরও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা আগে থেকেই দেওয়া হয়েছিল এই ঘটনার পর আরও বাড়ানো হয়েছে।
এই ঘটনায় কারা জড়িত আপনারা কিছু জানতে পেরেছেন কিনা এই ব্যাপারে তিনি বলেন, জিম্মিকারীদের মধ্যে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে সব রকম জিজ্ঞাসাবাদ করলে ও তাদের পরিচয় জানা গেলে এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা জানা যাবে। তাই এই মুহূর্তে আমরা এই ব্যাপারে আগাম কোনো কিছুই বলতে চাই না।
অভিযানে ও জিম্মিদের উদ্ধারে এত সময় নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা না হলে যারা আটকা পড়েছেন তাদের বাইরে আনা কঠিন হতো। জীবিত উদ্ধার করার লক্ষ্য ছিল।
এখন সরকার কি ভাবছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতদিন গুপ্তহত্যা ও টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা এবারই বাংলাদেশে প্রথম। তাই পরিস্থিতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করেই এই ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম